ভবানীপুরে শুক্রবার বাড়ি বাড়ি প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানালেন বিজেপি কে ভােট দেবার আবেদন। ভবানীপুরের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
অন্য দিকে, বিজেপি-র প্রার্থী তৃণমূলের থেকে বেরিয়ে আসা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘােষ। এই আসনটি থেকে লড়তেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এবার ওই আসনে না দাঁড়ালেও ভবানীপুর যে ‘ভিআইপি’ আসন, সেটাই যেন শুক্রবার নতুন করে বুঝিয়ে দিলেন অমিত।
কলকাতা শহরে এই প্রথম কোনও কেন্দ্রে হেঁটে প্রচারে গেলেন তিনি। দরজায় দরজায় রুদ্রনীলের হয়ে ভােট চাইলেন বেলতলা বস্তি এলাকায়। পদ্ম শিবিরের দাবি, ভবানীপুর এ বার দলের পক্ষে। ওখানে পদ্ম যে ফুটছেই, তা সম্যক বুঝেই ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন মমতা।
এ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদীও। নির্বাচনী প্রচারে এসে বলেছিলেন, “ভবানীপুর থেকে স্কুটি ঘুরিয়ে নন্দীগ্রাম গিয়েছেন মমতা। আবার নন্দীগ্রামে ভােটগ্রহণের দিন মােদী বলেছিলেন, “দিদি প্রথমে ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। পরে বুঝলেন সেটা ভুল হয়েছে।”
ভবানীপুর নিয়ে বিজেপি-র এমন আশাবাদী হওয়ার পিছনে রয়েছে ২০১৯ সালের লােকসভা নির্বাচনের ফলাফল। ২০১৬ সালে ওই আসন থেকে মমতা জিতেছিলেন ২৫,৩০১ ভােটে। ১৯.৪৮ শতাংশ ভােট পেয়ে বিজেপি ছিল তৃতীয় স্থানে।
কিন্তু তিন বছর পরে লােকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনের অন্তর্গত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভােটের পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকে বিজেপি। যদিও লােকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে তৃণমূল ভবানীপুরে এগিয়ে ছিল ৩,১৬৮ ভােটে।
পাশাপাশি, শুক্রবার ভবানীপুরে জাস্টিস চন্দ্ৰমাধব রােডের একটি বাড়িতে মধ্যাহ্নভােজ সারেন শাহ। এই বাড়িতে থাকেন রাজ্য বিজেপি-তে ‘জুপিদা’ নামে পরিচিত ৮৯ বছরের সমরেন্দ্র প্রসাদ বিশ্বাস।
অধুনাপ্রয়াত বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী ও তপন শিকদার রাজ্য সভাপতি থাকার সময়ে তিনি দু’বার বিজেপির রাজ্য সম্পাদক ছিলেন।