আজ শহরে অমিত শাহ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (File Photo: IANS)

পুরভােটের ঠিক আগে আজ শহরে শহিদ মিনার ময়দানে সভা করবেন অমিত শাহ। উপস্থিত থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। কিন্তু এদিনের সভা থেকে দলের উদ্দেশে কি বার্তা দেবেন অমিত শাহ? সেই দিকেই আপাতত তাকিয়ে রাজ্যের বিজেপির কর্মীরা। 

সংশােধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু করার জন্য আজ অমিত শাহকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে রাজ্য গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। শহিদ মিনার ময়দানে বাঁধা হয়েছে ৪০ বাই ২৪ ফুটের মূল মঞ্চ, যেখানে থাকবেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ। মূল মঞ্চের পাশের মঞ্চে অন্যান্য রাজ্য নেতা এবং সাংসদরা থাকবেন। প্রচারের শুরু থেকেই এই জনসভাকে ‘ঐতিহাসিক’ তকমা দিচ্ছে বিজেপি। 

এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এই সভা যে রাজ্য রাজনীতির মােড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। 


বর্তমানে উত্তপ্ত রাজধানী দিল্লি। শুধু দিল্লি নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি বঙ্গেও এনআরসি এবং সিএএ’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় সিএএ লাগু করার জন্য অমিত শাহকে সংবর্ধনা জানানাের সভা কতটা সফল করতে পারবে রাজ্য বিজেপি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

কিন্তু রাজ্য বিজেপি নেতাদের থেকেও বড় পরীক্ষা অমিত শাহের। লােকসভা নির্বাচনের ফলাফলে এই রাজ্যে বিজেপির চমকপ্রদ উত্থান স্পষ্ট হয়েছিল। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল কার্যত হতাশ করেছে বিজেপি কর্মীদের। এরপর সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে বিজেপি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

এদিকে সামনেই পুরভােট এবং বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এই অবস্থায় রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের মনােবল বাড়াতে ঠিক কি বক্তব্য রাখবেন অমিত শাহ? নজর এখন সেই দিকেই। 

সাধারণ মানুষ, যারা এই দিন শহিদ মিনার ময়দানে উপস্থিত হবেন, তাদের কাছে যাতে বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য পৌঁছে যায় সেজন্য ময়দান চত্বরে লাগানাে হয়েছে ৬’টি জায়েন্ট স্ক্রিন। সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য শহিদ মিনার ময়দান চত্বরে থাকবেন বিজেপির ৫০০-র বেশি স্বেচ্ছাসেবক।

সুত্রের খবর, রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামনে অমিত শাহ। শহিদ মিনার ময়দানে সমাবেশ সম্পন্ন করে বিকেল ৪ টা নাগাদ তিনি কালীঘাট মন্দিরে পুজোও দেবেন। 

অন্যদিকে এদিন এনআরসি এবং সিএএ’র বিরােধিতা করে পথে নামতে পারে ছাত্র-যুবরা। ফলে অমিত শাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্রবিক্ষোভ সামাল দিয়েও এই সমাবেশকে সফল করাটাই আজ রাজ্য বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।