• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

নাম ঘোষণা না হলেও মানিকতলা উপনির্বাচনে প্রচারে জোর তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিনিধি, ১২ জুন– আসন্ন উপনির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা না হলেও মানিকতলায় তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল। গত মঙ্গলবার নবান্নে মানিকতলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রার্থী হিসাবে প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডের নামেই যে সিলমোহর পড়তে চলেছে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বুধবার সকাল থেকেই মানিকতলা বিধানসভার বিভিন্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, ১২ জুন– আসন্ন উপনির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা না হলেও মানিকতলায় তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল। গত মঙ্গলবার নবান্নে মানিকতলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রার্থী হিসাবে প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডের নামেই যে সিলমোহর পড়তে চলেছে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বুধবার সকাল থেকেই মানিকতলা বিধানসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাঁর সমর্থনে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী তাঁর ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। উল্টোডাঙার মুচিবাজার হরিশ নিয়োগী রোডে নিজের হাতে দেওয়াল লিখছেন তিনি। কাউন্সিলর অমল বলেন,”দলের তরফে আমরা ইঙ্গিত পেয়েছি যে, সুপ্তি পাণ্ডে আমাদের প্রার্থী হতে পারেন। তাই ইঙ্গিত পেয়েই আমরা প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছি।”

আগামী ১০ জুলাই মানিকতলা-সহ রাজ্যের আরও তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ১৯৮৪ সালে বড়তলা বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতে প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন সাধন। কিন্তু ২০০৯ সালের আসন পুনর্বিন্যাসে বড়তলা বিধানসভা কেন্দ্রটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তাই ২০১১ সালে নবগঠিত মানিকতলা কেন্দ্রে প্রার্থী হন তিনি। সেবার তিনি জিতে রাজ্যের মন্ত্রীও হন। ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভার ভোটে জয় পেয়েছিলেন সাধন। কিন্তু দীর্ঘ অসুস্থতার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখে তিনি প্রয়াত হন। তারপর থেকে মানিকতলায় উপনির্বাচন বকেয়া রয়েছে। ২০২১ সালের ভোটে মানিকতলায় সাধনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। কল্যাণের দায়ের করা একটি মামলার জন্য মানিকতলায় উপনির্বাচন করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি ওই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। আদালত নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে উপনির্বাচন করতে হবে।

সেই নির্দেশে ১০ জুলাই মানিকতলায় ভোট হবে। গত সোমবার নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই উত্তর কলকাতার চার তৃণমূল নেতাকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার, বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে নিয়ে কোর কমিটি গঠন করে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সঙ্গে মঙ্গলবার কোর কমিটির সদস্য ও মানিকতলা বিধানসভার অন্তর্গত কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে সাধন-জায়াকেও তলব করেছিলেন মমতা। সেখানে সুপ্তিকে প্রার্থী করার বিষয়ে মানিকতলার কাউন্সিলরদের ইঙ্গিত দেন তিনি। আর সেই ইঙ্গিত পাওয়ার পরেই বুধবার থেকে প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা।

মঙ্গলবারের বৈঠক থেকে মানিকতলা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বোরো-৩-এর চেয়ারম্যান অনিন্দ্য কিশোর রাউতকে। কুণালকে করা হয়েছে কোর কমিটির আহ্বায়ক। এদিন সকালে তিনি পান্ডেদের বাড়িতে যান।