অনুপস্থিতির তালিকা দীর্ঘ হলেও কাজলের আহ্বানে ব্যাপক সাড়া

নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় বোলপুর-শ্রীনিকেতন  ব্লকের একটা অংশ রয়েছে নানুর বিধানসভার অধীনে, যা একেবারে বোলপুর শহরকে স্পর্শ  করে রয়েছে। শাসকদল তৃণমূল-কংগ্রেসের বীরভূম জেলা কমিটি যে বিজয়া সম্মিলনী শুরু করেছে তার পরতে পরতে দেখা দিয়েছে নানা বিতর্ক।  ইতিমধ্যেই তিহাড় জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে জেলায় ফিরে বিজয়া সম্মিলনী শুরু করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।  আর এর মধ্যেই কোনও বিজয়া সম্মিলনীতে দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডল, চন্দ্রনাথ সিনহাকে,  আবার কোনও বিজয়া সম্মিলনীতে রয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শেখ কাজল। সেই নিয়েও দলের অন্দরে চলছে জোর বিশ্লেষণ।

এরই মধ্যে  বুধবার  ২৩ অক্টোবর বোলপুর-শ্রীনিকেতন  ব্লকের নানুর বিধানসভার সিয়ান-মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের বোলপুর শহর লাগোয়া মুলুক প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজয়া সম্মিলনী করে  নানুর বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস। যে বিজয়া সম্মিলনীতে দেখা গেল না অনুব্রত মণ্ডল এবং চন্দ্রনাথ সিনহাকে।  বিজয়া সম্মিলনীতে জেলা পরিষদের  সভাধিপতি  কাজল শেখ  স্পস্টভাবে জানান, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কাজ করে চলেছেন। এবার দুর্গাপুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে জেলার  ২ হাজার ৭০০ ক্লাবকে  ২৩ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার ফলে দুর্গাপুজো  দুর্গোৎসবে পরিণত হয়েছে।
এই বিজয়া সম্মিলনীতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক  তিলোত্তমা’কে ধর্ষণ-খুনের মর্ম্মান্তিক  ঘটনার নিন্দা করে একে নারকীয় ঘটনা বলে উল্লেখ করে বলেন,  মুখ্যমন্ত্রী বার বার আন্দোলনকারী জুনিয়র  চিকিৎসকের কাজে যোগদান করতে বাবাবাছা করে অনুরোধ করেছেন।  রাজ্য  পুলিশ তদন্তে যে তথ্য সামনে এনেছে,  তাই-ই মান্যতা পাচ্ছে সিবিআই  তদন্তে।  কিন্তু রাজ্য সরকার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের উপরে কোনও দমনপীড়ন চালায়নি। মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই একটা সুস্থ পরিবেশের দিকে এগিয়ে  যেতে পেরেছেন। কেননা, আন্দোলনের গর্ভেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির উত্থান ঘটেছে।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় সবুজসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো পালক রয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হঠিয়ে দেওয়া কোনওক্রমে সম্ভব নয়।
যে ৬টি বিধানসভার উপনির্বাচন হচ্ছে, তার সবকটি আসন যেমন তৃণমূল কংগ্রেস পাবে তেমনই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় ক্ষমতায় আসবেন বলে মত প্রকাশ করেন ব্রাত্য বসু। তাঁকে বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,  পণ্ডিত জওহারলাল নেহরু বিশ্বভারতীকে যে ভাবনায় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের  স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, তা থেকে এখন অনেক সরে এসেছে বিশ্বভারতী। কেন্দ্রের অধীনে থাকা বিশ্বভারতীতে বিজেপি সুবিধা করতে না পারার কারণে এখানে উপাচার্য নিয়োগে অচলাবস্থা জিইয়ে রেখেছে।  রবীন্দ্রনাথ অসাম্প্রদায়িক থাকায় বিজেপি রবীন্দ্রনাথকে অপছন্দ করেন বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন তিনি।