মালদহে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে

রক্ষকই ভক্ষক! মালদহের হবিবপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কালী পুজোর দিন বাড়িতে ঢুকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এলাকারই এক সিভিক ভলান্টিয়ার। হবিবপুর থানা অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। পরে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। সিভিকের পরিবারের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে নির্যাতিতার পরিবারের। পাল্টা ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছে সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবার।

নির্যাতিতা বলেন, কালী পুজোর দিন রাতে ঘটনাটা ঘটেছিল। আমার স্বামী, মা, বাবা – কেউ বাড়িতে ছিল না। আমি মন্দিরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। সেই সময় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার আচমকা আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। প্রথমে আমার গায়ে হাত দেয়। অশালীন আচরণ করে। তারপর ধর্ষণ করে। তারপর ওর বাড়ি থেকে লোহার রড নিয়ে এসে মারপিট শুরু করে। গলা চিপে ধরে আমার বাবার শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে। বাবার মাথায় মেরেছে ওরা।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতা। তাঁর কথায়, আমরা অভিযোগ জানাতে হবিবপুর থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ অফিসাররা আমাদের কেস নিচ্ছিল না। তারপর জানি না কী হল, আবার এসে অভিযোগ নিয়ে গেল। ও সিভিক ভলান্টিয়ার, তাই পুলিশ ওকেই সাপোর্ট করছে। ও পুলিশ, ওর সঙ্গে কেউ তো পারছেই না। আমাদেরকে বলছে কেস না তুলে নিলে গলা কেটে নেবে হাসুয়া দিয়ে।


মালদহ উত্তরের বিজেপি জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ধর্ষণে এক নম্বর স্থান দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ। কালী পুজোর রাতে যে ঘটনাটা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দাজনক ঘটনা। এর সঙ্গে জড়িত কে? একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ জানানোর জন্য ওই মহিলা যখন স্বামীকে নিয়ে হবিবপুর থানায় যায়, সেই থানা কোনও রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অভিযোগ জানালেও যদি না নেয়, যদি পুলিশ সুপারের কাছে যেতে হয়, তাহলে আমাদের এই রাজ্যে শাসনব্যবস্থা বলে আর কী থাকল?

মালদহের তৃণমূল মুখপাত্র আশিস কুন্ডু বলেন, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হবিবপুর থানা তিনটি মামলা রুজু করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আইন অনুযায়ী কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে, তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলার আইনের শাসন আছে বলেই বাংলার মানুষ বার বার প্রমাণ করেছে, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন।