• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অ্যাম্বুলেন্স লোপাটের অভিযোগ তৎকালীন রাজারহাট গোপালপুর পৌরসভার প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি : বিধাননগর পৌরনিগমের ২০ নং ওয়ার্ডের অ্যাম্বুলেন্স লোপাটের অভিযোগ প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে! পূর্বে এটি ছিল রাজারহাট গোপালপুর পৌরসভার ২৯ নং ওয়ার্ড। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় অভিযোগের তীর তৎকালীন ২৯ নং (বর্তমানে বিধাননগর পৌরনিগমের ২০ নং ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী সাহা, তৎকালীন ওয়ার্ড কমিটির সেক্রেটারি তপন কুমার সাহা এবং এই ২০ নং (বর্তমান) ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর রতন

২০০ করােনা রােগীর অ্যাম্বুলেন্স চালকের স্টিয়ারিং থামলাে কোভিডে

নিজস্ব প্রতিনিধি : বিধাননগর পৌরনিগমের ২০ নং ওয়ার্ডের অ্যাম্বুলেন্স লোপাটের অভিযোগ প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে! পূর্বে এটি ছিল রাজারহাট গোপালপুর পৌরসভার ২৯ নং ওয়ার্ড। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় অভিযোগের তীর তৎকালীন ২৯ নং (বর্তমানে বিধাননগর পৌরনিগমের ২০ নং ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী সাহা, তৎকালীন ওয়ার্ড কমিটির সেক্রেটারি তপন কুমার সাহা এবং এই ২০ নং (বর্তমান) ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর রতন মৃধার দিকে। এই সরকারি সম্পত্তি লোপাট করার অভিযোগে তদন্ত এবং এফআইআর দায়ের করার আবেদন জানিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদীকে চিঠি লিখলেন বিধাননগর পৌরনিগমের ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১০ সালে তৎকালীন রাজারহাট গোপালপুর পৌরসভা একটি টাটা সুমো অ্যাম্বুলেন্স তৎকালীন ২৯ নং ওয়ার্ড কমিটিকে এলাকার মানুষের কাজে ব্যবহারের জন্য প্রদান করেছিল। অ্যাম্বুলেন্সটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর মোটর ভেহিকেলস দফতরে নিবন্ধিত রয়েছে। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে কাউন্সিলর সহ তৎকালীন পৌরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয় এবং পৌরবোর্ডের দায়িত্ব প্রশাসক হিসেবে বারাসত মহকুমা শাসক গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৫ সালে বিধাননগর পৌরনিগম গঠিত হয়, তারই অন্তর্ভুক্ত হয় রাজারহাট গোপালপুর পৌরসভা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও মৌসুমী সাহা এবং তপন কুমার সাহা রাজারহাট গোপালপুর প্রশাসকের কাছে কিংবা বিধাননগর পৌরনিগমের কাছে অ্যাম্বুলেন্সটি হস্তান্তর করেননি। বেআইনি ভাবে অ্যাম্বুলেন্সটি নিজেদের অধিকারে রেখে তার অবৈধ ব্যবহার করতে থাকেন নিজেদেরই ব্যক্তিগত কার্যে। উল্লেখ্য, অ্যাম্বুলেন্সটি রাখা ছিল জগৎপুর আদর্শপল্লী সিপিএম পার্টি অফিসে। এরপর ২০২১ সালের মে মাসের অভিযুক্ত রতন মৃধা ২০ নং ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিযুক্ত হন। রতন মৃধাও অ্যাম্বুলেন্সটি বিধাননগর পৌরনিগমকে ফেরৎ না দিয়ে তপন কুমার এবং মৌসুমীর সঙ্গে যোগসাজশ করে সিপিএম পার্টি অফিস থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি বের করে লোপাট করে দেন।
উল্লেখ্য, সিপিএম পার্টি অফিস থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি বের করা হলে তাঁদের স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। কিন্তু রতনরা তাঁদের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে দেন। কাউন্সিলর নিজ আবেদন পত্রে লিখেছেন, এই রতন মৃধার নামে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিভিন্ন থানায় তোলাবাজি, জমিদখল সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য বহু ফৌজদারি মামলা রুজু করা হয়েছে। কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগের স্পষ্ট অভিযোগ, মৌসুমী সাহা, তপন কুমার সাহা এবং রতন মৃধা তিনজন মিলেই সরকারি সম্পত্তি লোপাট করেছেন। তদন্তের ভিত্তিতে এর উপযুক্ত শাস্তির প্রয়োজন। এই বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত এবং এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়ে জেলাশাসককে চিঠি লিখেছেন প্রসেনজিৎ। সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রতন মৃধার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফোন সুইচ অফ থাকায়, যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি এবং এই ঘটনায় তাঁর প্রতিক্রিয়াও মেলেনি।