রোগী মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত পরিবেশ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রোগীর মৃত্যুর পর সাগর দত্ত মেডিক্যালে চড়াও হয় তাঁর পরিবার-পরিজনরা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে তাণ্ডব। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। মৃত রোগীর পরিবারের তরফে বলা হচ্ছে, হাসপাতালে রোগীকে ফেলে রাখা হয়। ফলে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবার-পরিজনদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ডাক্তার, নার্সসহ সাত জন জখম হয়েছেন। বিনা বাধায় হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডে ঢুকে চলে হামলা। পুলিশের সামনেই ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে তাণ্ডব চালানো হয়, উঠে আসছে এমনই অভিযোগ। মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করা হয়। প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছে জুনিয়র ডাক্তাররা।
হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানা মহলে উঠছে প্রশ্ন। আরজি করের ঘটনার পরও রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে সুরক্ষা বলয় সঠিকভাবে গড়ে ওঠেনি, এমনটাই মত চিকিৎসক মহলের। সাগর দত্ত হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে কিঞ্জল নন্দ বলেন, ‘মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হলেও সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই সুরক্ষার বিষয়ে বড় ধরণের ফাঁক রয়েছে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনাতেই তা প্রমাণ হচ্ছে।’
কর্মবিরতি কখন উঠবে, সেই বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবস্থানে বসা জুনিয়র ডাক্তারদের কথায়, শনিবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক আছে। সেই বৈঠক সম্পন্ন হওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জানা যাবে।