কুলতলিতে ফের বাঘের আতঙ্ক। শনিবার সন্ধ্যায় মাতলা ও মাকড়ি নদীর সংযোগস্থল দিয়ে বাঘকে লোকালয়ের দিকে আসতে দেখেন এক মৎস্যজীবী। তাঁর কাছ থেকেই এলাকায় বাঘ আসার খবর জানতে পারেন গ্রামবাসীরা। এলাকায় বাঘের ছাপও দেখা গিয়েছে। এর ফলে গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। গ্রামবাসীরাই রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেন। খবর দেওয়া হয় বন দপ্তর ও পুলিশে। বাঘটিকে ধরার জন্য আপাতত তিনটি খাঁচা পাতা হয়েছে। এলাকায় শুরু হয়েছে নজরদারি। খুব প্রয়োজন ছাড়া গ্রামবাসীদের বাড়িতে থেকে বেরোতে নিষেধ করেছে পুলিশ।
দিন কয়েক আগেই বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছিল কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগেনাবাদের বাসিন্দাদের। এবার সেই ছবি কুলতলির দেউলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারাদের। এলাকার বাসিন্দারা জানান, তাঁরা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েই বাঘের দেখা পান। বন বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় বাঘ ঢুকে পড়েছে বলে খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পৌঁছান তাঁরা। রবিবার সকাল থেকে বাঘের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। লোকালয়ে বাঘের প্রবেশ আটকাতে জাল দিয়ে ঘেরার কাজ করা হবে।
রবিবার সকালে কুলতলি থানার পুলিশ গ্রামের মানুষজনকে নদী বাঁধের উপরে আসতে নিষেধ করেন। পাশাপাশি গ্রামের পাশেই একটি ধান খেতে ফেন্টিং করা হয়। সেখানে বাঘের কোনও হদিশ মেলেনি বলে বন দপ্তর সূত্রে খবর। ফেন্সিংয়ের পাশে প্রায় ৩০০ মিটার পর পুকুরপাড়ে বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। বন দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জোয়ারের জল নামলে নতুন করে শুরু হবে মাতলা নদীর ধারে বাঘের পায়ের ছাপ খোঁজার কাজ।