মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে বগটুইতে দাঁড়িয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যে যেখানে যত বেআইনি বোমা, যন্ত্রপাতি রয়েছে অবিলম্বে তা উদ্ধার করার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই জেলায় জেলায় পুলিশি তৎপরতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
বীরভূম — বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগটুইয়ের নৃশংস ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই জেলার মাড়গ্রাম থানার ছোট ঢাঙার গ্রামের কাছে ৬ টি জারে ৬০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর – এই জেলার কেশপুরের ধলহারা গ্রামে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে দেখা গিয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে। পুলিশি সুত্রে খবর, জঙ্গল এলাকায় চারটি বালতিতে রাখা ছিল প্রায় ৬০টি তাজা বোমা।
মালদা — বেআইনি অস্ত্র ও তার কারবারীদের খোঁজ পেতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত। বৃহস্পতিবার রাতে চাঁচলের কুশমাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দু’টি পাইপগান ও দু’রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। ধৃত মারুফ আলি চাঁচলের কুশমাই এবং অনুপ মালো চাঁচলের পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা।
মুর্শিদাবাদ — এই জেলার জঙ্গিপুরের রহমানপুর এলাকার একটি বাঁশবাগানেও দু’টি বালতি থেকে ১৪টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। কান্দির গোলাহাটায় অভিযান চালিয়ে লালু শেখ ও মণি রুল শেখ নামে সহিসপাড়ার দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা– এই জেলায় বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে জগদ্দলে একটি খেলার মাঠ থেকে তিনজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে হাবড়া থানা এলাকা থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ রাউন্ড গুলি ও ৩টি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৭ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান – এই জেলার কাটোয়া থানার পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।