টানা সাতদিন হাসপাতালে যুদ্ধ করার পর অবশেষে মৃত্যু হল লিলুয়া ওয়ার্কশপের ইঞ্জিনিয়ার অমিতাভ সেনগুপ্তের। কিছুদিন আগে ২৫ হাজার ভােল্টে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন হাসপাতালে। পুরাে ঘটনায় গাফিলতির অভিযােগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যদিও এখনাে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
অভিযােগ, কোনরকম লিখিত নােটিশ ছাড়াই মৌখিক নির্দেশ দিয়ে লিলুয়া ওয়ার্কশপের সহকারি ম্যানেজার কোচিং ভার্মা ২ জন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে ডানকুনিতে একটি সাইটে পরিদর্শনের জন্য যান। সেই সময় কাজ পরিদর্শন করতে করতে তিনি প্রিন্সিপাল সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার অমিতাভ সেনগুপ্তকে একটি কোচের উপরে উঠতে বলেন। সেই সময় তারগুলিতে বিদ্যুৎসংযােগ থাকায় ২৫ হাজার ভােল্টের বিদ্যুৎ এর ঝটকা খান অমিতাভবাবু। তিনি কার্যত উপর থেকে নিচে পড়েন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তাঁর এক সহকর্মী। অমিতাভবাবুর শরীর ঝলসে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বিআর সিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত সােমবার সেখানে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে পরে গার্ডেনরিচ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তার করােনা পরীক্ষা করা হলে রিপাের্ট পজেটিভ আসে। তার পরিবারের লােকজনের অভিযােগ বি আর সিং হাসপাতাল থেকে তিনি করােনা পজিটিভ হন। পুরাে ঘটনাটি জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছে তারা।
এই ঘটনায় ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযােগ উঠেছে। কাগজে – কলমে কোনরকম নির্দেশ ছাড়া কিভাবে মৌখিক নির্দেশে ভিত্তিতে এক কর্মীকে ওভারহেডে তােলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রেল কর্মী সংষ্ঠাঠনগুলি ।