১২ ঘণ্টার মধ্যেই বদল! তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পাশাপাশি দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবিতেও এবার ঢাকল শহর। উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল থেকে উজ্জ্বল হলুদ পতাকায় নীল কালিতে বাংলায় ‘অধিনায়ক অভিষেক’ লেখা পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল যাদবপুর-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিন রাত ১০টার পর সামনে এল আরও একটি পোস্টার ও হোর্ডিং। মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত সেই পোস্টারে এবার লেখা, ‘সবার্ধিনায়িকা জয় হে’।
নীচে লেখা হ্যাশট্যাগফ্যামফরটিএমসি অর্থাৎ ‘তৃণমূলের সমর্থক’। তাঁদের তরফেই যাদবপুরের এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে সুলেখা মোড় পর্যন্ত লাগানো হয় এই পোস্টার। শুক্রবার এই নির্দিষ্ট কমিউনিটির তরফেই অভিষেকের পোস্টারও লাগানো হয়েছিল। অন্যদিকে, শনিবার সন্ধ্যাই সাত দিনের বিদেশ সফরে রওনা হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগে সমর্থকদের তরফে এই বার্তা সামনে আনা এল। যার অর্থ, দলে অভিষেক অধিনায়ক হলেও এবং তাঁর প্রচুর অনুগামী থাকলেও, সবার উপরে সত্য সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ই। ‘ফ্যাম’ বুঝিয়ে দিল, অভিষেক অধিনায়ক এবং মমতা বন্দোপাধ্যায় সর্বাধিনায়িকা। রাজনৈতিক মহল বলছে, ভারসাম্য বজায়ের লক্ষ্যে যে এই নয়া পোস্টার।
প্রসঙ্গত, সমর্থকদের এই মঞ্চের পক্ষ থেকে রবিবার গাঙ্গুলিবাগানের কলতান কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হবে তাদের রণকৌশল বৈঠক। তবে কেন সেই বৈঠক? সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈঠক হবে ২০২৬-র বিধানসভা ভোটে সমাজমাধ্যমে প্রচারের রূপরেখা ঠিক করতে। সেই হোর্ডিংয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের পাশাপাশি সর্বময়নেত্রী মমতার ছবি রয়েছে। ‘ফ্যাম’-র অন্যতম সংগঠক সৌরভ দাস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তৃণমূল তো বটেই, আমরাই সমাজমাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় সমর্থক কমিউনিটি। দিদি এবং দাদাকে মোটেই পৃথক করে দেখা হচ্ছে না। আমাদের এই সমর্থক সংগঠনে কেউ সর্বক্ষণের কর্মী নন। প্রত্যেকে নিজের কর্মস্থলের ব্যস্ততা সামলে সবটা করেন। প্রথম দিন আমরা হলুদ পতাকা লাগিয়েছিলাম। পরের দিন দিদির ছবি দেওয়া হোর্ডিং লাগানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, অভিষেকের ডাকে আয়োজিত মেগা ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে স্পষ্ট হয়েছিল, দলনেত্রী অভিষেকের কাঁধে গুরুদায়িত্ব অর্পণ করে তাঁকে সক্রিয় রেখেছেন। অভিষেকও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে। এরপর সম্প্রতি নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে দলনেত্রী জানিয়ে ছিলেন, তাঁর লন্ডন সফরের সময় দলের কাজ দেখবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং অভিষেক। এর থেকে স্পষ্ট, ছাব্বিশের ভোটযুদ্ধের ময়দানে দলের সর্বময় নেত্রী এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একত্রেই নামবেন।