• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কাজ হারিয়ে অবসাদে আত্মঘাতী প্রৌঢ়

লকডাউন কাজ কেড়ে নিয়েছে। অবসাদে আত্মঘাতী শহরের আরও এক বাসিন্দা। বহুতল থেকে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই প্রৌঢ়।চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘােষণা করেন।

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

লকডাউন কাজ কেড়ে নিয়েছে। অবসাদে আত্মঘাতী শহরের আরও এক বাসিন্দা। বহুতল থেকে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই প্রৌঢ়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘােষণা করেন।

তদন্তকারী আধিকাকি সূত্রের খবর, স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে গল্ফ রােডে একটি বহুতলের বাসিন্দা ছিলেন সৌমিত্র সেন। ষাটোর্ধ্ব সৌমিত্র একটি বেসরকারি সংস্থায় স্বল্প বেতনে অ্যাকাউনটেন্টের কাজ করতেন। কিন্তু লকডাউন চলাকালীন দীর্ঘ ৬ মাস কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। এরপর অফিস খুললেও তাঁকে জবাব দিয়ে দেয় ওই সংস্থা।

কাজ হারিয়ে চরম হতাশায় ভুগছিলেন প্রৌঢ়। আর্থিক অস্বচ্ছলতায় দিন গুজরান ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়েছিল। অবসাদ গ্রাস করেছিল সৌমিত্র সেনকে বলে পরিবারের তরফ থেকে তদন্তকারী আধিকারিককে জানানাে হয়েছে। এরপরেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলন তিনি।

বুধবার গভীর রাতে নিজেদের ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন প্রৌঢ়। চতুর্থ তল থেকে ঝাঁপ দিয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। দ্রুত তাকে প্রতিবেশীরাই নিয়ে যায় বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকুরিয়ার একটি নার্সিংহােমেও। কিন্তু জ্ঞান আর ফেরেনি। ভাের পৌনে চারটে নাগাদ চিকিৎসা তাঁকে মৃত বলে ঘােষণা করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে , গত কয়েক মাস ধরে আর্থিক অনটনের কারণে অবসাদে ভুগছিলেন। সৌমিত্র সেন তা থেকেই এই হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এই ঘটনায় পরিবারের তরফ থেকে কোনও অভিযােগ দায়ের করা হয়নি। যাদবপুর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা দায়ের করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানাে।