• facebook
  • twitter
Monday, 7 April, 2025

অর্ধেক ডিম দেওয়ার অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় অভিভাবিকাকে মার

অভিযুক্ত কর্মী সুচিত্রা দাস বলেন, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক আজকে অর্ধেক করেই ডিম দেওয়ার কথা শিশুদের।

প্রতীকী চিত্র

অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের পড়ুয়া শিশুদের অর্ধেক ডিম দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় এক অভিভাবিকাকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে এই কেন্দ্রের কর্মীর বিরুদ্ধে। এই দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান অন্য অভিভাবক- অভিভাবিকারা। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। দীর্ঘক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অভিযুক্ত ওই কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানার রামকান্তপুর অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে। এলাকাটি কুঠিরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার ছিল পালস পোলিও। এদিন রামকান্তপুর অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের পড়ুয়া খুদেদের জন্য অর্ধেক ডিম বরাদ্দ করা হয়। মামনি বিবি নামে এক অভিভাবিকা তার সন্তানের জন্য খাবার আনতে গিয়ে দেখেন,অর্ধেক করে ডিম দেওয়া হচ্ছে। তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং অর্ধেক ডিম সহ খাবার নিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে এই কেন্দ্রের কর্মী সুচিত্রা দাসের সঙ্গে বচসা শুরু হয় মামনি বিবির। দীর্ঘক্ষণ ধরে সেই বচসা চলতে থাকে। বচসা চলাকালীন অভিভাবিকাকে ওই কর্মী মারধর করেন বলে অভিযোগ।

মামনি বিবি বলেন, “আজকে বাচ্চারা পোলিও খাবে। তাই বলেছিলাম খিচুড়ির সঙ্গে অর্ধেক ডিমের পরিবর্তে গোটা ডিম দেওয়ার জন্য। সেই সঙ্গে এও বলেছিলাম, সোম বা মঙ্গলবার বাকি যে অর্ধেক ডিম দেওয়া হবে, সেটা নেবো না। কিন্তু ওই কর্মী আমাদের অনুরোধ না শুনে নিজের মোবাইল থেকে সুপার ভাইজার, বিডিও ইত্যাদিকে ফোন করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন। আমাদের মেজাজ দেখিয়ে কথা বলছিলেন। আমাকে বার বার ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে থাকেন। আমার গায়ে হাত দেওয়ায় আমি প্রতিবাদ করেছি।”

অভিযুক্ত কর্মী সুচিত্রা দাস বলেন, “সরকারি নির্দেশ মোতাবেক আজকে অর্ধেক করেই ডিম দেওয়ার কথা শিশুদের। সেই মতো আমাদের কেন্দ্রের পড়ুয়াদের অর্ধেক করেই ডিম দিচ্ছিলাম আমরা। কিন্তু ওই অভিভাবিকা তা নিতে অস্বীকার করেন। তিনি গোটা ডিমের দাবী করেন। সেই সঙ্গে বলেন পরের দিন বাকি অর্ধেক ডিম না দিলেই হবে। আমি তাকে জানাই, এটা চালু করলে, বাকি অভিভাবকরা এটা মানবে না। আমি তাকে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক অর্ধেক ডিম নেওয়ার কথাই বলি। কিন্তু তার গায়ে কেউ হাত দেয়নি। ও আমার মোবাইল কেড়ে নিচ্ছিল। আমি হাত দিয়ে তাকে সরিয়ে দিয়েছি। তাকে কেউ মারধর করেনি।”