দক্ষিণদাঁড়ি রেলব্রিজে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মহিলার। রেলের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই মহিলা দক্ষিণদাঁড়ি রেলব্রিজ ধরে হাঁটছিলেন। আচমকা ট্রেন চলে আসায় ভয় পেয়ে যান তিনি। ব্রিজের ফাঁক থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। এর ফলে ব্রিজের ফাঁক গলে নীচে পড়ে যান তিনি। রেল ব্রিজের লোহার পিলারে লেগে তাঁর মাথা ফেটে যায় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রায় আধ ঘণ্টা তাঁর দেহ নীচে পড়েছিল। পরে লেকটাউন থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। রেলব্রিজের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালে। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুষমা প্রসাদ।
শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে বিধাননগরের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামেন তিনি। এরপর ৫ নম্বর দক্ষিণদাঁড়ি রেলব্রিজ ধরে এগোচ্ছিলেন তাঁরা। আস্তে হাঁটায় তাঁর স্বামী একটু পিছিয়ে গিয়েছিলেন। ততক্ষণে সুষমাদেবী উঠে পড়েছিলেন রেলব্রিজে। হঠাৎ পিছন থেকে শুনতে পান ট্রেনের হর্ন। এর ফলে সুষমাদেবী হতচকিত হয়ে পড়েন। ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি করে প্রাণে বাঁচতে ঝাঁপ দেন পাশের লাইনে। সেই সময় ব্রিজের ফাঁক গলে নীচে পড়ে যান তিনি।
রেলের তরফে বারংবার ট্র্যাক ধরে হাঁটতে নিষেধ করা হয়। এই সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রচারও চালানো হয়। তারপরেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হওয়ায় এই জাতীয় দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে।