আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার একুশে জুলাই সমাবেশ তৃণমূল কংগ্রেসের। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আফসোস হচ্ছে। সভাটা ব্রিগেডে করলেই ভাল হতো।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এদিন বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত তাঁর কাছে সাংগঠনিকভাবে যা রিপোর্ট তাতে হাজার মানুষ কলকাতায় চলে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরের মধ্যে দুরের জেলাগুলি থেকে আরও এক লক্ষ মানুষ কলকাতায় পৌঁছে যাবেন।
তারপর কলকাতা ও লাগোয়া দুই হাওড়া, হুগলি, দুই চব্বিশ পরগনা, দুই বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম, মেদিনীপুরের জমায়েত ঢুকরে সকাল থেকে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, যা লোক সমাবেশের জন্য আসবেন তার দশ ভাগের একভাগ সমাবেশস্থলে পৌঁছতে পারবেন।
তৃণমূল সেটা ধরে নিয়েই ব্রিগেডে বন্দোবস্ত করেছে। কলকাতা শহরের একাধিক জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে।
শিয়ালদহ স্টেশন হাওড়া স্টেশনের বাইরেও পর্দা টাঙানো হবে। যাতে যে ভিড় ধর্মতলায় পৌঁছতে পারবেন না জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষ যাতে বক্তৃতা শুনতে পারেন।
এদিন অভিষেককে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি আগামী দিনে ব্রিগেডে সমাবেশের পরিকল্পনা করছে দল।
জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন।’ একবারই একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ হয়েছিল। সেটা ২০১১ পরিবর্তনের পর।
তারপর ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভা করেছিলেন দিদি। সেই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালি।’
ফারুক আবদুল্লা থেকে তেজস্বী যাদব, মল্লিকার্জুন খাঙ্গে থেকে এমকে স্ট্যালিনরা সেদিন মমতার ডাকে ব্রিগেডে এসেছিলেন। তারপর অবশ্য আর ব্রিগেড করেনি তৃণমূল।
মাঝে দু’বছর কোভিডের জন্য একুশের সমাবেশও ভার্চুয়াল করতে হয়েছিল শাসকদলকে। দু বছর পর আজ একুশে জুলাই সমাবেশ।