ডায়মন্ড হারবারের যে কোনো সমস্যায় সর্বদাই ঢাল হয়ে দাঁড়ান ওই কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ব্যতিক্রম হলো না এবারও। বিড়লাপুরের জেটিঘাটে চার স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এবার মৃতদের পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে নোদাখালি থানা এলাকার বিড়লাপুরের জেটি ঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিল চার কিশোর। পুলিশের হাজারো চেষ্টা ব্যর্থ করেই নদীবক্ষে হারিয়ে যায় চার কিশোর। যার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই মনোবল হারিয়ে ছেলের মৃত্যু শোকে ভেঙে পড়েছে চার পরিবার। এই ঘটনা শোনা মাত্রই তৎপর হন অভিষেক, গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন সহকর্মী সুমিত রায়ের কাঁধে। অভিষেকের নির্দেশ মতো সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সুমিত রায়, বজবজের বিধায়ক অশোক দেব এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত দফতরের কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর খান। তাঁরা মৃত কিশোরদের বাড়িতেও যান এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন। অভিষেক তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে চার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। আগামীতেও তাঁদের যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার এবং অর্থসাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর সাহায্যের হাত কেবল ডায়মন্ড হারবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, তা পৌঁছে গেছে গোটা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে ছ’জন কিশোর কাশীপুর-আলমপুর গঙ্গার জেটিঘাটে স্নান করতে গিয়ে ভেসে গিয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই স্কুল পড়ুয়া। তাদের মধ্যে দু’জনকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন। তবে এখনও বাকি চার জনের খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ ওই চার কিশোরের নাম দীপুকুমার সাউ, পিন্টুকুমার সাউ, দীপক মাহাতো ও বিভাসকুমার সাউ। এদের মধ্যে দীপু ও পিন্টু দুই ভাই এবং দীপক ও বিভাস তাদের প্রতিবেশী। নাবালকদের তলিয়ে যেতে দেখে প্রাথমিকভাবে খোঁজ চালান স্থানীয়রা। তারপর খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশে। ঘটনাস্থলে এসেছিলেন পুলিশ প্রশাসন-সহ দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা। তবে সকলের আপ্রাণ চেষ্টাকে ব্যর্থ করে গঙ্গাবক্ষেই হারিয়ে যায় চার কিশোর।