‘তােলাবাজ ভাইপাে’ বলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে আইনি নােটিশ পাঠান হল শুভেন্দু অধিকারীকে। যেখানে বলা হয়েছে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে শুভেন্দুকে নাহলে মামলার হুমকি দিয়েছেন তৃণমূল যুব সভাপতি।
বর্তমানে ‘তােলাবাজ ভাইপাে’ এই শব্দ বন্ধনী নিয়েই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিধানসভা ভােটের আগে বিজেপি নেতাদের ‘ভাইপাে’ আবর্তিত হচ্ছে বারংবার। এই প্রসঙ্গে বিজেনি নেতাদের বক্তব্য, ‘ভাইপাে’ আসলে কে সবাই জানে।
এদিকে তৃণমূল গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে বলছে বুকের পাটা থাকলে নাম বলুন বিজেপি নেতারা। যাকে নিয়ে আলােড়ন, সেই তৃণমূল সাংসদ তথা যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আমি প্রকাশ্যে বলছি, দিলীপ ঘােষ গুন্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। ক্ষমতা থাকলে আমার নাম নিয়ে কথা বলুন।
এরপরই সরাসরি অভিষেককে তােলাবাজ বলে আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তার পরই বাবুলকে আইনি নােটিশ পাঠায় অভিষেক, এবার সেই তালিকায় নবতম সংযােজন শুভেন্দু অধিকারীর নাম।
বিজেপিতে যােগ দেওয়ার পর থেকেই প্রতিটি সভাতেই প্রায় শুভেন্দর মুখে শােনা যাচ্ছে তােলাবাজ ভাইপাে কটাক্ষ। কিন্তু এতদিন শুভেন্দু ‘তোলাবাজ ভাইপাে’ শব্দবন্ধনী ব্যবহার করলেও সরাসরি অভিষেকের নাম করেননি। কিন্তু এবার সরাসরি অভিষেকের নাম নেওয়াকে, শুভেন্দুর নামে আইনি নােটিশ পাঠাল অভিষেক।
আইনি নােটিশে বলা হয়েছে খেজুরির সভা ও একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে অভিষেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘তােলাবাজ ভাইপাে’, ‘পাচারকারী’র মতাে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি নারদাকান্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরই কেডি সিংয়ের টাকার সংগঠিত হয়েছিল বলেও অভিযােগ করা হয়। আইনি নােটিশ পাঠিয়ে অভিষেক দাবি করেন, ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে শুভেন্দুকে। নাহলে মামলা করা হবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে।