শুক্রবার সন্ধ্যে হাসপাতাল থেকে ঘড়া পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে হুইল চেয়ারে করে এসে গাড়িতে ওঠেন তিনি। তার জন্য বিশেষ চটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার ১৪ মার্চ কালীঘাটের বাড়ি থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করবেন মমতা।
আগামী সােমবার থেকেই তিনি হুইল চেয়ারে করে নির্বাচনী প্রচারে বেরােকো বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন অভিষেকজায়া রুজিরা। তিনি তার পিসিশাশুড়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরীরের খোঁজখবর নেন।
বিকেলের দিকে এসএসকেএম হাসপাতালে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মেধা পাঠের। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত আরোগ্য কামনা কলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসার দায়িত্বে মেডিকেল বাের্ড ছিল, সেই বাের্ডের সদস্যদের সিদ্ধান্তমতােই শুক্রবার সন্ধেয় হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতের পরীক্ষাতেই জানা গিয়েছিল তার পায়ে চিড় ধরেনি ওইদিন রাতে ভালাে ঘুম হয়েছিল তার। শুক্রবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার জন্যই বারবার অনুরোধ করেন মমতা। শুক্রবার মোড়কেল বাের্ডের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর পরীক্ষা করেন।
এসএসকেএম -এর ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমরা তাকে আরও দু’দিন হাসপাতালে থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু ওঁর অনুরােধেই সব দিক বিবেচনা করে ছুটি দেওয়া হচ্ছে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের প্লাস্টার কাটা হয়।
তাঁর কাঁধ, ঘাড়, কজির ব্যথা অনেকটা কমেছে । তার পায়ের ফোলা কিছুটা কমলেও ব্যথা রয়েছে। ডাক্তার মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানা , বাড়ি ফিরলেও তাকে চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। কোনও ভারী জিনিস তােলা যাবে না।
আপাতত হুইল চেয়ারই হবে তার সঙ্গী। সাতদিন পরে আবার তাকে আসতে হবে চেক আপের জন্য। শুক্রবার সন্ধেয় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তার সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অভিনেতা সাংসদ দে প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে ব্যথার জন্য বিশেষ জুতাে পরতে বলেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পায়ে চপ্পল ছাড়া আর কোনও জুতাে পরতে পারেন না। অগত্যা চপ্পলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশেষ চটির ব্যবস্থা করা হয় তার জন্য। এদিন প্লাস্টার করা পায়ে সেই চটি পরেই এসএসকেএম -এর সবাইকে বিদায় জানিয়ে সন্ধেয় বাড়ি ফেরেন মমতা।