• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

২২ নভেম্বর পুরভোটের প্রচারে ত্রিপুরায় যেতে পারেন অভিষেক

২২ নভেম্বর পুরভোটের প্রচারে ত্রিপুরা যেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় ১৩ টি পুরসভা এবং ৬ টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: Twitter @abhishekaitc)

২২ নভেম্বর পুরভোটের প্রচারে ত্রিপুরা যেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় ১৩ টি পুরসভা এবং ৬ টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট। মোট ৩২৪ টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হবে। ২৮ নভেম্বর ফল ঘোষণা।

এই প্রথম বার ত্রিপুরার পুরভোটে অংশ নিতে চলেছে বাংলার শাসক দল। তাই ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্ব চেয়েছিলেন, পুরভোটের প্রচারে আসুন অভিষেক। ত্রিপুরা নেতৃত্বের তরফে অভিষেককে প্রচারে আনার আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব।

বুধবার অভিষেকের দফতর সূত্রেই জানাগেছে, ২২ নভেম্বর আগরতলায় পুরভোটের প্রচারে যেতে পারেন তিনি। তবে তার আগে গোয়া সফরে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই সফর শেষ করে কলকাতা ফিরে এক দিনের জন্য আগরতলায় যেতে পারেন অভিষেক।

যদিও ত্রিপুরায় পুরভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে, বাংলার ন’জন তৃণমূল নেতাকে পাঠানো হল ত্রিপুরার পুরভোট যুদ্ধের ময়দানে। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় ১৩ টি পুরসভা এবং ৬ টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট।

মোট ৩২৪ টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হবে। ২৮ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণা। এই প্রথমবার ত্রিপুরার পুরভোটে অংশ নিতে চলেছে বাংলার শাসক দল। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পাঁচ বিধায়ক-সহ দায়িত্ব পাওয়া ন’জন নেতা বুধবার সকালের বিমানেই ত্রিপুরা পৌঁছে গিয়েছেন।

ভোট পর্যন্ত সেখানেই তাঁদের থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও ত্রিপুরায় যাবেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। প্রচারে যেতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও।

মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে ত্রিপুরার সেপাইজালা জেলার সোনামুড়ার নগর পঞ্চায়েতে ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করবেন কোচবিহারের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়।

বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহকে খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিজিতের সহযোগী করা। অভিষেক হয়েছে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসকে। যিনি নিজেও বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন।

প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে হারিয়ে এ বার প্রথম বিধায়ক হয়েছেন চাঁপদানি পুরসভার পুর প্রশাসক অরিন্দম গুইন । তাঁকে দেওয়া হয়েছে ঢালাই জেলার অন্তর্গত আমবাস পুরসভার দায়িত্ব। তাঁকে সহযোগিতা করবেন পুর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি এবং রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরি।

ত্রিপুরার রাজধানী শহর আগরতলাতেও পুরভোট হচ্ছে। আগরতলার নির্বাচনী লড়াইয়ে এক বিধায়ক সহ দু’জন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল। আগরতলা পুরসভাকে তিন ভাগে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই তিনজনকে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অভিজিৎ ঘটককে আগরতলা পুরসভার ১ থেকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালনার কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিজিৎ রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই। ১৮ থেকে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটের দায়িত্ব সামলাবেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে প্রথমবার বিধায়ক হওয়া নারায়ণ গোস্বামী।

অপর দিকে, বিধানসভা ভোটের পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রচার করে রণকৌশল সাজাতে আগরতলা পুরসভার ৩৫ থেকে ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে পেয়েছেন তিনি। আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন।

লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ মঙ্গলবার বলেন, দল নির্দেশ দিয়েছে ত্রিপুরার পুরভোটের জন্য যেতে হবে তাই স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়ে ছুটির আবেদন করেছি। পাঁচ জন বিধায়কই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ছুটির আবেদন করেছিলেন। স্পিকার সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলেই খবর।

ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা আশিস লাল সিংহ বলেন, পুরভোটে আমাদের সাহায্য করতে কলকাতা থেকে বেশ কয়েক জন নেতা আসছেন। তাঁদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা পুরভোটে লড়াই করব।