• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

টিকিট না পেয়ে অভিমানী অর্জুন! ফের কি বিজেপি-তে?

কলকাতা, ১২ মার্চ: বারাকপুর লোকসভার টিকিট না পেয়ে দোলাচলে অর্জুন সিং। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর প্রথমে নেত্রীর ওপর ভরসা রেখে কথা বললেও, আস্তে আস্তে মানসিকভাবে অক্ষ পরিবর্তন করছেন তিনি। কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে, তিনি হয়তো আগামীতে পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হতে পারেন। দল তাঁকে অন্য কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করতে চাইলেও রাজি নন অর্জুন। তিনি

কলকাতা, ১২ মার্চ: বারাকপুর লোকসভার টিকিট না পেয়ে দোলাচলে অর্জুন সিং। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর প্রথমে নেত্রীর ওপর ভরসা রেখে কথা বললেও, আস্তে আস্তে মানসিকভাবে অক্ষ পরিবর্তন করছেন তিনি। কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে, তিনি হয়তো আগামীতে পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হতে পারেন। দল তাঁকে অন্য কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করতে চাইলেও রাজি নন অর্জুন। তিনি জানিয়েছেন, বারাকপুর আমার মান সম্মানের প্রশ্ন। বারাকপুরের জন্য আমি আমার জীবন কুরবান করে দিতে পারি।

এদিকে এবিষয়ে কলকাতার মেয়র তথা অর্জুনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবিষয়ে অর্জুন সিং-এর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। দলের সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে নিয়ে তাঁকে দলে থেকে যেতে বলেছেন। কিন্তু, সেই প্রস্তাবে অর্জুনের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং তাঁর কণ্ঠে এখন মোদির প্রশংসা শোনা যাচ্ছে। সিএএ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সিএএ-এর সমর্থনে আমি সংসদে ভোট দিয়েছিলাম। এটা বিজেপির দীর্ঘ ৫০ বছরের লড়াই। এই আইন চালু হলে ভালোই হবে। এবিষয়ে তিনি বিজেপি ও মোদির প্রশংসা করেন। মতুয়া সমাজকেও শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে বিজেপির টিকিটে জিতে দল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ক্ষুব্ধ বিজেপির একাংশ। সেজন্য তিনি ফের দলে ফিরলে গেরুয়া শিবির তাঁকে কতটা পাত্তা দেবে সেবিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি তাঁর দলীয় অফিস থেকে মমতা ও অভিষেকের ছবি সরিয়ে ফেলেছেন। সেই জায়গায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি লাগিয়েছেন। অর্জুন সিং বলেন,’তৃণমূলের কাছে আমি আন ওয়ান্টেড হয়ে গেছি। দলে আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তৃণমূলে আমার আসা ভুল হয়েছে। আমার দেড় বছর নষ্ট করা হল। কিছু দিনের মধ্যেই জানতে পারবেন আমি কী করতে চলেছি। আমার ডেথ ওয়ারেন্টে সই করে দেওয়া হয়েছে। আমাকে মানুষকে বোঝাতে হবে আমি কোনও ভুল করিনি। তৃণমূলের কাছে আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছে।  পরিকল্পনামাফিক আমাকে সরানো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে আপনারা জানতে পারবেন আমি তৃণমূলে আছি, কি নেই!’

তবে মমতা ও অভিষেকের ছবি তাঁর অফিস থেকে সরাতেই এটা স্পষ্ট, তিনি আর তৃণমূলে থাকছেন না। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, অর্জুন বেঁকে বসেছেন মানে এবারের লোকসভায় হয় তিনি যে কোনওভাবে প্রার্থী হবেন। না হলে বিজেপি কিংবা অন্য কোনও দলে ভিড়ে গিয়ে সেই টিকিটে প্রার্থী হতে পারেন। তবে যেহেতু মোদির ছবি তিনি তাঁর দলীয় অফিসে ফের ঝুলিয়েছেন, সেজন্য তাঁর বিজেপিতে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। এবার অর্জুন ফের কোনদিকে পা বাড়ান সেটাই দেখার বিষয়।