আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট চেয়ে কংগ্রেস। সভানেত্রী সােনিয়া গান্ধিকে একটি চিঠিও লিখেছেন বিধানসভার বিরােধী দলনেতা আবদুল মান্নান। চিঠিতে আব্বাসের সঙ্গে জোট করার অনুমতি চেয়েছেন মান্নান। কংগ্রেস সভানেত্রীকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আপনি অনুমতি দিলেই জেট নিয়ে কথাবার্তা এগােব।
রাজ্যে বিজেপির আগ্রাসন ঠেকাতে সমস্ত বিরােধী দলকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন আব্বাস। কিন্তু রাজ্যের শাসকদলের তরফে তেমন সাড়া মেলেনি। তবে রাজ্যের জোট নেতৃত্ব তাঁর ডাকে সাড়া দেয়।
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফে বিরােধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বামেদের তরফে মহম্মদ সেলিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূলত বিরােধী দলনেতাই ভাইজানের সঙ্গে কথাবার্তা চালান। বিজেপি বিরােধিতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে জোট শিবিরে আসতে রাজি হন বলে খবর।
কিন্তু ভাইজানের দাবি চিন্তায় ফেলেছে। আলিমুদ্দিন ও বিধানভবনের ভােট ম্যানেজারদের। কমপক্ষে ৪০ টি আসন আইএসএফকে দিতে হবে বলে জোট নেতাদের শুনিয়ে রাখেন তিনি। সংখ্যালঘু ভােটের স্বার্থে ভাইজানকে প্রয়ােজন। আবার তাঁকে এত আসন ছাড়াও সম্ভব নয়। তাই আপাতত কুড়িটি আসন ছাড়ার প্রভাব দেওয়া হবে বলে আলিমুদ্দিন সুত্রে খবর।
রবিবার রাজ্যে আসছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। আবার ওইদিনই রয়েছে জোটের তৃতীদফার আসনরফার বৈঠক। প্রথম দুটি বৈঠকে ১৯৩ টি আসনে রফা করে ফেলেছে জোট শিবির। তৃতীয় দফায় বাকি ১০১ টি আসন নিয়ে আলােচনা হওয়ার কথা।
সেদিনই আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় জোট শিবিরের নেতারা। আব্বাসকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। ২০১৯ লােকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট সম্পূর্ণটাই চলে যায় তৃণমূলে। ভাইজান জোট শিবিরে যােগ দিলে সেই ভােটের কিছু অংশ ফেরত আসার সম্ভাবনা থাকবে বলে জানিয়েছেন পার্টির রাজ্য কমিটির এক সদস্য। সবদিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।