এখনই বাম-কংগ্রেস দু’পক্ষই তাঁর সঙ্গে জোট করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তাতে সম্মতি দেখিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। এবার জোট নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য আগামী রবিবার অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারির সময়সীমা বেঁধে দিলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি।
জোটের বাকি আসনরফা চূড়ান্ত করতে ৭ ফেব্রুয়ারিই বৈঠকে বসছে বাম-কংগ্রেস। তাই আব্বাসের সঙ্গে জোট হবে কিনা, তা স্পষ্ট হতে পারে ওই দিনই। বাম কংগ্রেস দু’পক্ষ থেকেই আব্বাসের সঙ্গে আসনরফার বিষয়ে আলােচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিপিএমের পলিটব্যুরাের নেতা মহম্মদ সেলিমকে। ইতিমধ্যে তাঁর সঙ্গেও আব্বাসের বেশ কয়োর কথা হয়েছে। শুধুমাত্র আলােচনা চালিয়ে যেতে নারাজ আব্বাস। তাই আগামী রবিবারই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি, এমনটাই মত ফুরফুরা শরিফে তাঁর ঘনিষ্ঠদের।
প্রসঙ্গত, বাম-কংগ্রেস দু’পক্ষই ইতিমধ্যে নিজেদের মধ্যে ১৯৩ টি আসনে রফা করে নিয়েছে। ভাগাভাগিতে বামফ্রন্ট ১০১ এবং কংগ্রেস ৯২ টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। বাকি এখন আর ১০১ টি আসনে সমঝােতা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি বাকি ওই ১০১ টির মধ্যেই আসন দেওয়া হবে ফুরফুরা শরিফের ‘ভাইজান’-কে?
বাম-কংগ্রেস এই দুই রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে তাঁর জোট আলােচনা যে অনেকদূর এগিয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, ‘বাম এবং কংগ্রেস দু’পক্ষের নেতাদের সঙ্গেই আমার আলােচনা হয়েছে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে যে কোনওদিন ভােট ঘােষণা হয়ে যাবে। আমাদের হাতেও বিশেষ সময় নেই। তাই ৭ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছি। ওই দিন পর্যন্ত আসন রফা নিয়ে তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে আমরা নিজেদের মতাে করে চলব।’