প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অধীর চৌধুরী। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে প্রয়াত মন্ত্রীকে নিয়ে স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
এদিন অধীরবাবু বলেন, ‘এই মৃত্যু আমার কাছে খুব শোকের, বেদনার, দুঃখের। আমি মাত্র কয়েকদিন আগে ১ নভেম্বর দুপুরে পিজি হাসপাতালে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে আমরা দেখা হল। কিছুক্ষণ ধরে তার সঙ্গে কথা এবং গল্প হয়।
স্বাস্থ্য নিয়ে কিছুটা কথা হলেও, বেশিরভাগ কথাটাই সুব্রতদার রাজনীতি, পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়। যেটা একজন রাজনীতির ব্যক্তির করা উচিত, সেটাই তিনি করলেন। অনেকক্ষণ ধরে আমার এবং সুব্রতদার কথা যখন চলছে, তখন সেখানে উপস্থিত সুব্রতদার স্ত্রী বলেন, এরপর আপনাদের যেতে হবে।
কারণ আর কথা বলা চিকিৎসকদের অনুমতি নেই। সুব্রতদাকে বললাম, আজ যাই। আপনি সুস্থ হন। পরে একদিন আপনার সঙ্গে আবার জমিয়ে গল্প করব, আড্ডা মারব।’
অধীরবাবু এদিন আরও বলেন, ‘সুব্রত মুখোপাধ্যায় মানেই রাজনীতিক বিচক্ষণতা, নিজস্ব রাজনীতির একটা ভাবনা, মৌলিক বিষয়ে নিজের চিন্তার অভিব্যক্তি এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হাসি, মজা।
সুব্রতদা থাকা মানে হাসাহাসি, মজা, রাজনীতি হবে। এরকম একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিরল। আমি যখন মিথ্যা কেসে আটক ছিলাম, তখন সুব্রতদা বহরমপুরে এসে খুব বড়ো প্রতিবাদ করেছিলেন।
এত উজ্জ্বলতা এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস, আস্থা এতটাই ছিল, কখনও ভুলেও আমার মনে হয়নি এই ব্যক্তিটি আর কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ছেড়ে বিদায় নেবে।
বাংলার রাজনীতিতে সুব্রত মুখোপাধ্যায় একটা তারকার নাম। তার রাজনীতি থেকে বিদায় হওয়া মানে বাংলার রাজনীতিতে বড়ো শূন্যতা এবং একটা অপুরণীয় ক্ষতি হল বলে আমি মনে করি।’