এর পরেই রশিদের চিকিৎসক বলেন, ‘‘এত দিন হাসপাতালে থাকায় তাঁর সংক্রমণ হয়েছিল। ওঁকে ভেন্টিলেশনে পাঠাতে হয়। ওঁকে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।’’ চিকিৎসকেরা রশিদের মৃত্যু সংবাদ জানানোর পর মমতা বলেন, ‘‘রশিদ আমার ভাইয়ের মতো। গঙ্গাসাগর থেকে জয়নগরে যাওয়ার পর ফোন এসেছিল। নবান্নে ফেরার পর খবর আসে। ছুটে আসি।”
মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে রশিদের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পিসওয়ার্ল্ডে। সেখানেই দেহ রাখা হবে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁর অনুরাগীরা। এর পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার হবে শিল্পীর দেহ। সেখানে আচার পালনের পর কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হবে টালিগঞ্জ কবরস্থানে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশে জন্ম রাশিদের। তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। যে ঘরানার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিব। রশিদ তালিম নিয়েছেন এই ঘরানারই আর এক দিকপাল উস্তাদ নিসার হুসেন খাঁ-সাহিবের কাছ থেকে। যিনি ছিলেন রশিদের দাদু। রশিদের মামা গোয়ালিয়র ঘরানার উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ-সাহিবের থেকেও তালিম নিয়েছেন রশিদ। মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গাইলেও ফিউশন বা বলিউড এবং টলিউডের ছবিতে বহু জনপ্রিয় গান গেয়েছেন শিল্পী। তালিকায় রয়েছে ‘জব উই মেট’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘মিতিন মাসি’-র মতো ছবি। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ সম্মান যেমন পেয়েছেন, তেমন বাংলা থেকেও পেয়েছেন বঙ্গবিভূষণ সম্মান।