অর্ণব সাহা, জলপাইগুড়ি: এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিকে ধৃতদের মধ্যে পাঁচজনই নাবালক বলে দাবি করেছেন তাদের পরিবারের লোকজন।অভিযোগ, ওই নাবালিকার প্রেমিকই ফুঁসলিয়ে চা বাগানে বেড়াতে নিয়ে যায় তাঁর নাবালিকা প্রেমিকাকে। সেখানে ওই প্রেমিকের ছয় বন্ধুও উপস্থিত ছিল। সেখানেই গণধর্ষণের শিকার হয় ওই নাবালিকা। পাশাপাশি ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো করে রেখেছিল অভিযুক্তরা। পরে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। আর তারপরই নাবালিকার পরিবারের তরফে ডুয়ার্সের মেটেলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার নাগাদ ঘটনাটি ঘটে৷ ছ’জন ছেলে ডুয়ার্সের মেটেলি থানা এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। তারপর তারা বন্ধু ও বন্ধুর নাবালিকা প্রেমিকাকে নিয়ে চা-বাগানে যায় ৷ সেখানে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। সেই সময় তাঁরা ঘটনাটি ভিডিয়ো রেকর্ডও করে। গত রবিবার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। তার পরই এই নিয়ে হইচই পড়ে ৷
অভিযোগ, অভিযুক্তদের তরফে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু নাবালিকার পরিবার মেটেলি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ হাতে পাওয়া মাত্রই জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে অভিযান চালিয়ে সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত জানান, মেটেলি থানা এলাকায় একটা ঘটনা ঘটেছিল। বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল ছ’জন। এরপর সাতজন মিলে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। অভিযোগ দায়ের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু হয়। মেটেলি থানা এলাকার একটি চা-বাগান থেকে তিনজনকে এবং আলিপুরদুয়ার জেলার দুটি পৃথক জায়গা থেকে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে পাঁচজন নাবালক রয়েছে ।