জঙ্গলে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় প্রাণ হারালেন এক মৎস্যজীবী। সুন্দরবনের চার নম্বর গাজিখালির সজনেখালি রেঞ্জের ঘটনা। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও সুন্দরবনে বাঘের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল এক মৎস্যজীবীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মৎস্যজীবীর নাম গণেশ কাহার (৪৭)। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন কোস্টাল থানার অন্তর্গত ছোট মোল্লাখালির বাসিন্দা ছিলেন। শনিবার সকালে বাসুদেব সরকার ও গোপাল বৈদ্য নামে স্থানীয় দুই মৎস্যজীবীর সঙ্গে তিনি মাছ ধরতে যান।
মাছ ধরার সময়ে বাঘ প্রথমে গণেশকে আক্রমণ করে। তাঁর দুই সঙ্গী বাসুদেব ও গোপাল তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু গণেশকে বাঁচানো যায়নি। বাঘের আক্রমণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাসুদেব এবং গোপাল জানান, গণেশের দেহটি টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল বাঘ। কোনওমতে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।
সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। যে জায়গায় মাছ ধরার জন্য গণেশ কাহার গিয়েছিলেন সেখানে যাওয়ার বৈধ অনুমতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে বন দপ্তর। এদিকে পরিবারের রোজগেরে সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন গণেশের পরিবারের লোকজন।
সপ্তাহ দুয়েক আগেই বাঘের হানায় এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বৈঠাভাঙা জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল কয়েকজন মৎস্যজীবী। একটি বাঘ আচমকা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। নৌকোয় থাকা লাঠি নিয়ে বাঘের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তাঁরা। বাঘের হামলায় মৃত্যু হয় বর্ণধর মণ্ডলের।
প্রশাসনের তরফে বারবার রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে। তবে তারপরেও সতর্ক হচ্ছে না স্থানীয়রা। এর আগেও রিজার্ভ এলাকায় কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মৎস্যজীবী। বারংবার সতর্ক করার পরেও এহেন ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসন।