‘রাম শিবিরে’ নতুন পুরনো সদস্যদের মদ্যে রাজনীতির লক্ষ্মণরেখা টানছে। কারণ খুঁজতে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে এখন থেকে ঘর গোছাতে চাইছে বিজেপি। এই লক্ষ্যে ২১ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা এবং অমিত শাহ। কিন্তু ওই বৈঠক থেকে শুরু হয়েছে ভূরি ভূরি বিতর্ক।
বিতর্ক -১, বৈঠক শেষের আগেই মুকুল রায়ের রাজ্যে প্রত্যাবর্তন। যদিও মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, চোখের অপারেশনের জন্যই আগে ফিরে এসেছেন তিনি।
বিতর্ক -২, বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে মুকুলঘনিষ্ঠরা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না দিলীপের ঘনিষ্ঠ মহল।
বিতর্ক -৩, জল্পনা চলছিল অর্জুন সিং নাকি নালিশ জনিয়েছেন, দলে তাঁকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
এই সমস্ত জল্পনায় কার্যত এটা সামনে উঠে আসছিল যে, বঙ্গ গেরুয়া শিবিরে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এছাড়াও দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চাপা উষ্মা প্রকাশ পাচ্ছিল ক্রমশই।
যদিও বাংলায় বিজেপির ব্যাটন দিলীপের হাতেই রাখতে চান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি, বিজেপির অন্দরে কোনও দ্বন্দ্ব চাইছেন না বিজেপি নেতারা।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন বঙ্গ বিজেপির অন্দর থেকেই কেউ বা কারা সন্তর্পণে বিভাজনের কাজ চালাচ্ছেন, তাই এই ‘বিভীষণ’ কে বা কারা, তা খুঁজে বার করতে রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
এদিকে রাজ্যে বিজেপি কর্মীর হত্যার তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। পাশাপাশি, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, এমনটা দাবি করে এদিন রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন করেন এই সাংসদ।