• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

তাহেরপুরে এক ব্যবসায়ীকে খুন, ৪ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা রানাঘাট আদালতের

অঙ্কিতা আচার্য, নদিয়া: এক ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার ৪ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল নদিয়ার রানাঘাট ফাস্ট ট্রাক আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, বহুজাতিক সংস্থার জোনাল ম্যানেজার নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা রাজা ভৌমিক খুনের মামলায় সোমবার ৪ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে রানাঘাট মহকুমা আদালত। খুনের মাস্টারমাইন্ড বর্ধমানের বাসিন্দা রাসমণি বিশ্বাস ও তার স্বামী দেবব্রত সহ চার অভিযুক্তকে

অঙ্কিতা আচার্য, নদিয়া: এক ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার ৪ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল নদিয়ার রানাঘাট ফাস্ট ট্রাক আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, বহুজাতিক সংস্থার জোনাল ম্যানেজার নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা রাজা ভৌমিক খুনের মামলায় সোমবার ৪ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে রানাঘাট মহকুমা আদালত। খুনের মাস্টারমাইন্ড বর্ধমানের বাসিন্দা রাসমণি বিশ্বাস ও তার স্বামী দেবব্রত সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের সাত মাসের মধ্যেই দোষী সাব্যস্ত করেছেন রানাঘাট ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্ত। মঙ্গলবার চার আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর রাতে রাজা ভৌমিককে তাঁর তাহেরপুরের বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর সামনে গুলি করে খুন করেছিল আততায়ীরা। খুনের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ছিল পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা রাসমণি বিশ্বাস এবং রানাঘাটের হবিবপুরের বাসিন্দা দেবব্রত বিশ্বাস। তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। প্রায় বছর দুয়েক আগে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের চার লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন রাজা। অভিযুক্তরা সেই টাকা মেটাতে গড়িমসি করলে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানোর হুমকি দেন রাজা। এরপরেই রাজাকে খুন করার পরিকল্পনা সাজায় ওই দম্পতি। দল ভারী করতে টাকার টোপ দিয়ে তাহেরপুরের দুই দুষ্কৃতী সৌরভ মজুমদার এবং হৃদয় মন্ডলকে ভাড়া করে তারা। এরপর ৮ ডিসেম্বর রাতে কালো মুখোশ পরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে খুন করে দেবব্রত, সৌরভ এবং হৃদয়। খুনের ঘটনার পাঁচ দিনের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় চার অভিযুক্তকে। দেবব্রত এবং হৃদয় ভিনরাজ্যে পালিয়ে গেলেও পার পায়নি তারা। পুলিসি জেরার মুখে নিজের হাতে রাজাকে গুলি করার কথা স্বীকার করে নিয়েছিল দেবব্রত।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ লক্ষ টাকা ধার দিয়ে দেবব্রত ও রাসমণির কাছ থেকে কাছ থেকে সুদে-আসলে ২০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন রাজা। সেই সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করা হয়েছিল। মৃতের বাড়িটি নির্জন এলাকায় হওয়ার কারণে ঘটনার পর আশে-পাশের কেউই আততায়ীদের দেখতে পায়নি। কারা, কী কারনে তাঁকে খুন করল, তা নিয়ে পরিবারও ধন্ধে ছিল। এমনকি কোনও সিসিটিভি ফুটেজও মেলেনি। শুধুমাত্র চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরেই অপরাধীদের নাগাল পেয়েছিল পুলিস। ডিএসপি বর্ডার, রানাঘাটের এসডিপিও, তাহেরপুর থানা এবং স্পেশাল অপারেশন গ্যাংয়ের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করে ভিনরাজ্যে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্তদের পাকড়াও করে নিয়ে আসা হয়। এরপর ২৩০ দিন ধরে চলে খুনের মামলা। জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩০২, ৫০৬, ৩৪ নম্বর ধারা এবং অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী এদিন চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়।