সপ্তম জাতীয় নাট্য উৎসব, অংশগ্রহণে ১৭টি নাট্যদল

কলকাতার মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে সপ্তম জাতীয় নাট্য উৎসব। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নাট্যবিশেষজ্ঞ ব্রাত্য বসু, অর্পিতা ঘোষ, হর ভট্টাচার্য, সেজুতি মুখোপাধ্যায় এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এই নাট্য উৎসবের সূচনা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে, এবং এবার তার সপ্তম পর্যায়ে পদার্পণ করেছে।

এ বছর ১৮ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসবটি। কলকাতার দুটি প্রধান মঞ্চ – মধুসুধন মঞ্চ এবং গিরিশ মঞ্চে হবে এই উৎসব। উৎসবের প্রথম দিন বিশেষ অতিথিদের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হবে। এবারের উৎসবে ১৭টি নাট্যদল অংশগ্রহণ করবে, যার মধ্যে ১০টি দল বাইরের রাজ্য থেকে আসছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, আসাম, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি এবং কর্ণাটক থেকে আসছে বিশিষ্ট থিয়েটার দলগুলো। আর এ রাজ্য থেকে অংশগ্রহণ করবে ৭টি নাট্যদল।

ব্রাত্য বসু বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘আমাদের সরকারের আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই নাট্য উৎসবের আয়োজন শুরু হয়েছিল। এটি এখন সাত বছরে পদার্পণ করেছে, এবং একে প্রতিবার নতুন নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই উৎসবের মাধ্যমে নাট্যাঙ্গনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন হতে চলেছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘গোটা ভারতবর্ষ থেকে ১১২টি নাটক আবেদন জমা পড়েছিল। আমাদের বিচারকরা সেগুলোর বিশ্লেষণ করে সেরা নাট্যদলগুলিকে নির্বাচিত করেছেন। এখানে আমাদের কোনও প্রভাব নেই, প্রতিটি দলকে বিচারকরা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করেছেন।’

পাটনা, বিহারের একটি নাটক উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে। এছাড়া, এবারের উৎসবের মোট ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা। নাট্য উৎসবটি শুধুমাত্র একটি মঞ্চ নয়, বরং এটি ভারতীয় থিয়েটারের অন্যতম বৃহৎ উদযাপন, যেখানে সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতার এক নতুন দিগন্ত প্রকাশ পাবে।

এবারের উৎসবের মাধ্যমে নাটকের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে এবং দেশ-বিদেশ থেকে আসা নাট্যদলগুলির মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক অসাধারণ সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।