বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন, মোহনপুর, কেশিয়াড়ি, নারায়ণগড় সহ জেলা জুড়ে। ঘূর্ণিঝড় ডানার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৬৯৩ জন প্রসূতিকে মাটির বাড়ি থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। ১ হাজার বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত সরিয়ে আনা হয়েছে ১৭ হাজার মানুষকে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বিদ্যুৎ, রাস্তা পরিস্কার করার টিম কাজ করছে বলে জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরি ও পুলিশ সুপার গৃতিমান সরকার। সেই সঙ্গে জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরি জানান ঘূর্ণিঝড় ডানা মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজরদারি শুরু করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এক সঙ্গে কাজ করছে।
অপরদিকে মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি এলাকায় শহীদ অনাথ বন্ধু পাঁজা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬ টি পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে মেদিনীপুর শহরের কংসাবতী নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মেদিনীপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ডানা মোকাবিলার জন্য মেদিনীপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান।