কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে এক মামলায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে দাখিল এফআইআরে ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হলো।
গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিকসহ অন্যান্য সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানায় দায়ের এফআইআর কপিতে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
ওই মামলার শুনানিতে সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, গত ২২ জুন সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আমতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের কেয়ারটেকার হাইবার আখান।
এরপর সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। এই তৃণমূল কর্মীর দায়ের করা এফআইআর খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই।
এই মামলার শুনানিতে এফআইআর-এর ওপর ৬ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত।
বিচারপতির নির্দেশ, ‘এই ৬ সপ্তাহ উমেশ কুমার সহ সিবিআইয়ের কোনও আধিকারিককে নোটিশ পাঠানো যাবে না। বন্ধ থাকবে তদন্ত। সিবিআই আধিকারিকদের ডেকে পাঠাতে পারবে না তদন্তকারীরা’।
গরু ও কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের প্রধান তদন্তকারী আধিকারিক এই উমেশ কুমার। তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের বাড়ি গিয়ে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরাও করেছেন তিনি।
তারই পালটা হিসাবে উমেশের বিরুদ্ধে নিজের দফতরের কর্মীকে দিয়ে অভিষেক অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সপ্তাহ পর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানায় সিবিআইয়ের প্রধান তদন্তকারী আধিকারিক উমেশ কুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন হাইবার আখান নামে এক ব্যক্তি।
তাঁর অভিযোগ, সাক্ষী হিসেবে নোটিশ দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়।
উমেশ কুমার-সহ অন্যান্য সিবিআই আধিকারিকরা খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকী সিবিআই আধিকারিকদের দাবি মতো বয়ান রেকর্ড করানোর জন্যও চাপ দেওয়া হয়।
এই মর্মে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষ্ণুপুর থানায় একাধিক ধারায় উমেশ কুমার-সহ সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন ওই ব্যক্তি।
কয়লাপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ওই ব্যক্তিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়ে এভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর কপিতে ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছেন।