• facebook
  • twitter
Friday, 25 April, 2025

ট্যাব নিয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে বসেনি ৫৫ হাজার পড়ুয়া

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক আধিকারিকের যুক্তি, একাদশে রেজিস্ট্রেশনের পর অনেক পড়ুয়াই চাকরি করতে চলে যায়।

‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণার পর স্কুলে স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। এমনকী, ভর্তি হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের পাশবইও জমা দিচ্ছে পড়ুয়ারা। অথচ একবার ব্যাঙ্কে ১০ হাজার টাকা ঢুকে যাওয়ার পর, আর হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না অনেক পড়ুয়ার। স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়ছে তারা। শুধু তা-ই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নথিভুক্তিকরণই করছে না বহু পড়ুয়া। এই সমস্ত পড়ুয়ারা কোথায় যাচ্ছে? তা খোঁজ নিতে গিয়ে শিক্ষা দপ্তর জানতে পেরেছে, এই সকল পড়ুয়াদের মধ্যে কেউ কেউ বিয়ে করে নিয়েছে। আবার কেউ কাজের জন্য ভিন রাজ্যে চলে গিয়েছে। কেউ কাজের খোঁজে পড়াশোনাই ছেড়ে দিয়েছে।

হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ কমেছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছিল ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। একাদশ শ্রেণির জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার পড়ুয়া। অথচ এই বছর পরীক্ষা দিচ্ছে মাত্র ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৪১৩ জন। অর্থাৎ প্রায় ৫৫ হাজার পরীক্ষার্থী কমেছে।

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক আধিকারিকের যুক্তি, একাদশে রেজিস্ট্রেশনের পর অনেক পড়ুয়াই চাকরি করতে চলে যায়। এক্ষেত্রে একাদশ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসতে চায় না অনেকে। কিন্তু তারা ট্যাবের টাকা পেয়েছে বলেই মনে করছে শিক্ষাবিদরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই সকল পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিকে বসছে না। তাহলে কি শুধুমাত্র ট্যাবের টাকা পাওয়ার জন্যই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হচ্ছে অনেকে? এই প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষাবিদদের একাংশ।

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফে করোনা-কালে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। করোনার দাপটে সেই সময় শ্রেণিকক্ষে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে, ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করতে পারছিলনা। তখনই অনলাইন ক্লাসে সুবিধার জন্য ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প হাতে নেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্কুলগুলোকে এই খাতে পড়ুয়া পিছু ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পড়ুয়ারা যাতে বাড়িতে বসেই ক্লাস করতে পারে সেই কারণেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।