পানীয় জল ইস্যুতে ৪৬৭টি এফআইআর পিএইচই দপ্তরের

প্রতীকী চিত্র

বাড়ি বাড়ি পানীয় জল প্রকল্পের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর ৪৬৭টি এফআইআর দায়ের হল। বুধবার বিধানসভায় একথা জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়। তিনি আরও জানান, প্রায় ২০ হাজার অভিযোগ এসেছে।

পানীয় জল সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য দুটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল ৮৯০২০৫২২২২ ও ৮৯০২০৬৬৬৬৬। মন্ত্রী পুলক রায় বিভিন্ন জেলার নিরিখে কতগুলি করে এফআইআর দায়ের হয়েছে সেই তথ্যও তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৫টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৬টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬৬টি, নদিয়াতে ৮৩টি, মুর্শিদাবাদে ৩৪টি, পূর্ব বর্ধমানে ২১টি, হাওড়ায় ১৪টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৯টি, মালদহে ১৭টি, বীরভূমে ২০টি, বাঁকুড়ায় ৯টি, হুগলিতে ৩১টি, উত্তর দিনাজপুরে ১৩টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ২২টি, পশ্চিম বর্ধমান ও আলিপুরদুয়ারে ১৪টি, কোচবিহারে ১০টি, ঝাড়গ্রামে ১২টি, পুরুলিয়ায় ১৩টি, জলপাইগুড়িতে ২টি এবং দার্জিলিঙে ২টি এফআইআর দায়ের হয়েছে।

গত কয়েকদিনে একাধিকবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিসংখ্যান তুলে ধরে দপ্তরের কর্মীদের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। মমতার দাবি, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পাইপলাইন বসলেও বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছাচ্ছে না। অনেক জায়গায় সরকারি পাইপ কেটে দেওয়া হচ্ছে। কাজে গাফিলতির অভিযোগ তুলে একাধিক ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়রকে শোকজ করা হয়েছে। এরপরই পরিস্থিতি সামলাতে পদক্ষেপ করল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর।


দপ্তরের কর্মী ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, রেল, ডিভিসি সহ কেন্দ্রের একাধিক দপ্তরের জন্য রাজ্যের প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে একাধিক নির্দেশ দেন মমতা। মমতার নির্দেশের পর রাজ্যজুড়ে তৎপরতার সঙ্গে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে।