৪ জন নয়, শীতলকুচিতে ৮ জনকে মেরে ফেলা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। রাহুল সিনহার এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়ে বলছে ৪ জনের জায়গায় ৮ জনকে মারা উচিত ছিল? এরা দেশের নেতা হবে?”
রবিবার হাবড়ার চোংদা মােড় থেকে বাণীপুর পর্যন্ত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে রােড শাে করেন স্থানীয় বিজেপি প্রার্থী রাহুল। সেখানে রাহুল বলেন, “শীতলকুচিতে ৪ জনের বদলে ৮ জনকে মারা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ৪ জনকে মারল, তার জন্য রং শাে কজ করা উচিত তাদের।”
শনিবার ভােটের দিন। শীতলকুচিতে একটি বুথে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়। আহত ৪ জনকে উল্লেখ করেই রাহুল এমন মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শীতলকুচিতে শনিবার সকালে ১৮ বছরের আনন্দ বর্মণের মৃত্যু হয়। আনন্দের পরিবারের দাবি, তারা বিজেপির সমর্থক।
সে প্রসঙ্গ তুলে রাহুল বলেন, “বিজেপি করার অভিযােগে ভােটের লাইনে দাঁড়ানাে ১৮ বছরের ছেলেক যারা গুলি করে মারে, তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখে বােমা ছােড়ে, মানুষকে ভােট দিতে দেয় না, তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। আর কিছু করতে পারবেন না।
মস্তানরাজ কায়েম করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্মণ করার চেষ্টা করছেন। শীতুলকুচিতেও চেষ্টা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী উপযুক্ত জবাব দিয়েছে । আবার যদি করে, আবারও জবাব দেওয়া হবে।”