ট্যাব-কাণ্ডে মালদহে ধৃত আরও ৪

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্কুল পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা গায়েবের ঘটনায় গতকাল গ্রেপ্তার হয়েছিল চারজন। বুধবার মালদহ থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিলেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতরা হল রকি শেখ, পিন্টু শেখ, শ্রবণ সরকার এবং জামাল শেখ।  ধৃতদের সকলেরই সকলেরই সাইবার ক্যাফে আছে। সেই সাইবার ক্যাফেতে বসেই দুষ্কৃতীরা এই প্রতারণা চক্র চালাত।মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে উত্তর দিনাজপুর থেকে তিনজন ও মালদহ থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।  এই জালিয়াতির ঘটনায় এই নিয়ে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ চার অভিযুক্তকে আটক করে বৈষ্ণবনগর থানায় নিয়ে যায়। রাতভর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের থেকে একাধিক জিনিস উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৫টি পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক, ডায়েরি, ব্যাঙ্কের নথি সহ আরও বেশ কিছু জিনিসপত্র। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ট্যাব কেলেঙ্কারির সঙ্গে একটি বড় চক্র জড়িত রয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার হাসেম আলি নামে এক সাইবার ক্যাফে মালিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আশারুল হোসেন নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় উত্তর দিনাজপুর থেকে। তিনি এই জেলার রামগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। আর চোপড়া থানার দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাদিক হোসেন ও মোবারক হোসেনকেও এদিন গ্রেপ্তার করে। বুধবার মালদহ থেকে আরও চারজন গ্রেপ্তার হতেই এই ঘটনায় জড়িত একটি বড় চক্রের হদিশ মিলতে চলেছে।