রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৭। দু’দিন আগে বালিগঞ্জ নিবাসী লন্ডন ফেরত এক তরুণের দেহে নোভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তার পর থেকে তার পরিবারের বেশ কয়েকজনকে রাজারহাট কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। তাদের লালারসের নমুনাও পাঠানো হয়েছিল নাইসেডে। সেখানেই ওই তরুণের বাবা-মা এবং পরিবারের এক পরিচারিকার দেহে কোভিড ১৯ ভাইরাস ধরা পড়েছে বলে ররিবার স্বাস্থ্যভবন সুত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ সন্দেহে এক ব্যক্তিকে রবিবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ভর্তি করা হয়েছে। এই ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গিয়েছে। বছর চল্লিশের এই ব্যক্তির বাড়ি পাঞ্জাবে। তার বক্তব্য, তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। গত কয়েকদিন ট্রেনে ট্রেনেই ঘুরছেন। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই তাকে হাসপাতালে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিন খড়গপুর স্টেশনে মালগাড়ি থেকে তাঁকে নামানো হয়। তার গায়ে জ্বর আছে। যদিও মালগাড়ি থেকে নামানোর কথা অস্বীকার করেছে।
সবংয়ের নারায়ণবাড়ে চৌধুরী পরিবারের ছেলে ধুম জ্বর নিয়ে শিলং থেকে এসেছে। গ্রামবাসীরা তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে।
অন্যদিকে দমদমের যোগীপাড়ার ৫৭ বছর বয়সী আক্রান্তের চার আত্মীয় কোভিড ১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বাঙুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠাল দক্ষিণ দমদম পুরসভা। ওই বাড়ির বাসিন্দা দুই ব্যক্তি, বাড়ির এক কর্মচারি এবং আক্রান্তের বাড়ির অদূরে থাকা শাশুড়িকে এদিন বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠানো হয় নমুনা সংগ্রহের জন্য।
এছাড়া দক্ষিণ দমদম পুরসভা ওই অঞ্চলে থাকা আরও পাঁচ ব্যক্তির নুমনা সংগ্রহ করে তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করুল পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর।