• facebook
  • twitter
Friday, 3 January, 2025

নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ বিজেপি কর্মী

পালিয়েও শেষরক্ষা হল না। নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মী মহাদেব বিষয়ী খুনে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতরা হল - অর্জুন সেনা, শুভ সেনা এবং অর্জুন মাইতি।

প্রতীকী চিত্র

পালিয়েও শেষরক্ষা হল না। নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মী মহাদেব বিষয়ী খুনে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতরা হল – অর্জুন সেনা, শুভ সেনা এবং অর্জুন মাইতি। তিনজনের বাড়ি নন্দীগ্রামের গোকুলনগর এলাকায়। কলকাতার লেকটাউন এবং তোপসিয়া থেকে‌ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। খুনের পর থেকেই পলাতক ছিল ধৃত তিনজন।

গোকুলনগরের বৃন্দাবনচক খালপাড়ে চা, তেলেভাজা এবং মাংসের দোকান ছিল মহাদেব বিষয়ীর। সরকারি জায়গায় দোকান করার অভিযোগ তুলে মহাদেবের কাছ থেকে তোলা চেয়েছিল স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। যদিও তোলা দেননি ওই তৃণমূল কর্মী। ২৫ ডিসেম্বর ফের ৫০ হাজার টাকা তোলা চেয়েছিল বিজেপির নেতা-কর্মীরা। কিন্তু তোলা দিতে চায়নি মহাদেব। মৃতের পরিবারের দাবি, তোলার টাকা না দেওয়ার কারণেই খুন করা হয়েছে মহাদেবকে।

মহাদেবের ভাই জয়দেব বিষয়ী ৩৯ জন বিজেপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন – গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য ভোলানাথ কামিল্যা, স্থানীয় বিজেপি নেতা অনুপ মাইতি, প্রসেনজিৎ মাইতি, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি‌ কর্মাধ্যক্ষ সাহেব দাস, বিজেপির নন্দীগ্রাম তিন নম্বর মণ্ডল সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মাইতি।

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে নিজের দোকানের কাছ থেকে এক তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মহাদেব বিষয়ী। বয়স ৫২ বছর। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েত এলাকার বৃন্দাবন চকের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দুটি পা-ই ভাঙা ছিল তাঁর। এছাড়া হাতেও ক্ষত ছিল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিতি ছিল মহাদেবের। দলের প্রায় সব কর্মসূচিতেই যোগ দিতেন তিনি। বৃন্দাবন চকের বাজার এলাকায় চা-খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। অন্যদিনের মতো বুধবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে তুলে যায় একদল দুষ্কৃতী। সারা রাত তাঁর খোঁজ মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকাল দোকানের সামনে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।

সপ্তাহ দুয়েক আগে নন্দীগ্রামে বিষ্ণুপদ মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খু্নের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ৭ নম্বর জলপাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, বিষ্ণুপদ মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে বিজেপির লোকজন। তৃণমূল কর্মীর দাদা গুরুপদ মণ্ডলকেও মারধর করা হয়। মারের চোটেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুপদর। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।