দেশজুড়ে সাইবার জালিয়াতি, ডিজিটাল অ্যারেস্ট, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি-সহ একাধিক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতেরা নথি জাল করে একাধিক সিম কার্ড তুলত। এরপর সেই সিম কার্ড ব্যবহার করে জালিয়াতি করত। সেক্ষেত্রে ধরা পড়ার সম্ভাবনাও বেশ কম থাকত। তদন্তে উঠে এসেছে, জলপাইগুড়ি জেলার ১৭২টি সিম কার্ড বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের থেকে ৫ টি সিমকার্ড, পিওএস মেশিন, বায়োমেট্রিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরেই জলপাইগুড়ি জেলায় রমরমিয়ে জালিয়াতি চলছিল। রাজ্য সাইবার থেকেও জেলা পুলিশকে সর্তক করা হয়। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে নামেন আধিকারিকরা। এরপর পুলিশি তদন্তে উঠে, জেলার একাধিক এলাকায় নথি জাল করে একাধিক সিম কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে। তারপরই অভিযানে নেমে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় বলেন, জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে নথি জাল করে একাধিক সিম কার্ড ইস্যুর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পিওএস সিস্টেমের সাহায্যে সিম তোলা হত। এনসিআরবি থেকে অভিযোগ আসে, জেলার ১৭২টি সিম কার্ড ব্যবহার করে দেশজুড়ে প্রতারণা করা হয়েছে। মূলত সাইবার অপরাধ, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করা হয়েছে।