কয়েক বছর ধরে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁরা। বিপদে-আপদে সর্বদাই মানুষের পাশে থেকেছেন। একাধিক নির্বাচনে এলাকা থেকে দল ভালো ফলও করেছে। কিন্ত তারপরেও একযোগে দল থেকে পদত্যাগ করলেন ২৪ তৃণমূল সদস্য। ঘটনাটি কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের সুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের। বাংলার আবাস যোজনায় এলাকার গরিব মানুষদের ঘর পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন তৃণমূলের নেতারা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের সুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ জন পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন। আর ৩ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও দল ছেড়েছেন। জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। আপাতত নির্দল হিসেবেই সকলে কাজ করবেন। যদিও কোনও পদত্যাগপত্র পাননি বলে দাবি করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি বলেন, আমার কাছে কোনও পদত্যাগপত্র এসে পৌঁছয়নি। পদত্যাগপত্র এসে পৌঁছলেও তা গ্রহণ করার কোনও প্রশ্নই আসে না।
২০২২ সালের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের সুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। প্রচুর মানুষের ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে যায়। সকলেই আশা করেছিলেন আবাস যোজনা থেকে ঘর পাবেন। সম্প্রতি আবাস যোজনার যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে গৃহহীনদের নাম না থাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভপ্রকাশ করে দল ছাড়েন ওই ২৪ জন তৃণমূল সদস্য।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৭৫০ জনের নাম এসেছিল। কিন্তু বাংলা আবাস যোজনায় মাত্র ৪৪০ জনের নাম এসেছে। দলীয় গাফিলতির কারণেই এমনটা ঘটেছে। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ঝড়ে যাঁদের বাড়িঘর ভেঙেছে, তাঁরা যত ক্ষণ পর্যন্ত ঘর না পাবেন, তত ক্ষণ পর্যন্ত এলাকায় একটিও ঘর কেউ নেবেন না।