ট্যাব কেলেঙ্কারিতে ধৃত আরও ২১, চোপড়াই কি তবে বাংলার ‘জামতাড়া’?

ট্যাব দুর্নীতি মামলায় গত দুই দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ২১ জনকে। এই মামলায় রাজ্যজুড়ে মোট ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। এই মামলায় ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করা হয়েছে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট।

রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় যেভাবে চুরি হয়েছে সেভাবেই ২০০৮ সালে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকাও চুরি হয়েছিল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বসে সেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। পাশাপাশি ২০১৮ সালে কেরল সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের টাকা হাতানোর ঘটনাতেও জড়িয়েছিল চোপড়ার নাম। তাহলে কি জামতাড়া হয়ে উঠছে বাংলার চোপড়া? এবার এই প্রশ্নই উঠছে।

পুজোর আগে রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা দেওয়া হয়েছিল। ট্যাবের টাকা নিয়ে রাজ্যজুড়ে জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের একাধিক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি ট্যাবের টাকা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় এই সংক্রান্ত ১৪০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ধৃত মোট ৪০ জনের মধ্যে ৫ জন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা।


এছাড়াও ঝাড়গ্রাম, আসানসোল, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার অনেকে এই মামলায় জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, ট্যাব কেলেঙ্কারির গোটা চক্রের মূল রয়েছে চোপড়াতে। ইতিমধ্যেই ৭৯৭টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা।

রাজ্যের পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে কেরল পুলিশ বাবর নামের চোপড়ার এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে কেরল সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্য পুলিশ মনে করছে, বাংলায় ট্যাব কেলেঙ্কারির সঙ্গে বাবর জড়িত থাকতে পারেন। কেরলের মামলায় বাবরকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তিনি মুক্তি পান। এই বাবরকেই বর্তমানে খুঁজছে পুলিশ।