• facebook
  • twitter
Thursday, 24 April, 2025

সোদপুরের ২ স্কুলে পড়ুয়া নেই, তাই শিক্ষক বদলির দাবি সাধারণের

দুই স্কুলের উলটো পরিস্থিতি নিয়ে এবার সরব হয়েছেন সোদপুরবাসী। তাদের একটাই দাবি, এই দুই স্কুলের শিক্ষকদের বদলি করা হোক।

ফাইল চিত্র

২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরি হারিয়েছেন। বাংলা স্কুলে স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকার আকাল। সেখানেরীতিমতো উল্টো পরিস্থিতি সোদপুরের ২ স্কুলে। সোদপুরের সুশীলকৃষ্ণ শিক্ষায়তন ফর বয়েজ স্কুল। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই স্কুলে ছাত্রের সংখ্যা মোটে ৫ জন। এদিকে শিক্ষক শিক্ষিকা ১১ জন। প্রতিদিন নিয়মিত শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত হলেও পড়ুয়া আসে কম। ফলে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে বাড়ি চলে যান শিক্ষকরা। এই বয়েজ স্কুলের পাশেই রয়েছে ঘোলা ভুবনেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়। সূত্রের খবর, এই স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা শূন্য। কিন্তু শিক্ষিকা আছেন ১৯জন। নিজেদের উপস্থিতি দেখতে নিয়ম করে স্কুলে এলেও কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে যান তাঁরা। দুই স্কুলের উলটো পরিস্থিতি নিয়ে এবার সরব হয়েছেন সোদপুরবাসী। তাদের একটাই দাবি, যে যে স্কুলে শিক্ষকের প্রয়োজন সেখানে বদলি করা হোক এই দুই স্কুলের শিক্ষকদের।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে একদিনে অসংখ্য শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি খোয়া গিয়েছে। চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন। ক্লাস করানো নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বাংলার নানানা প্রান্তের বহু স্কুলে। সেখানে এই দুই স্কুলে পড়ুয়ার অভাবে শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্লাস করতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে অন্য স্কুলে বদলি হলে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করছেন সোদপুরবাসী। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, ‘দুটি স্কুলেই পড়ুয়া আসেনা। শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, অনেক স্কুলে টিচারের অভাবে ক্লাস হচ্ছে না। সেখানে এই শিক্ষকদের বদলি করা হোক।’

ঘোলা ভুবনেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও সুশীলকৃষ্ণ শিক্ষায়তন ফর বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ‘আলাদা করে কিছু বলার নেই। সকলেই এটা জানে।’