ইয়াসের কারণে বুধবার গভীর রাত থেকেই মুর্শিদাবাদ জুড়ে ঝােড়াে হাওয়া, প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঘন ঘন বজ্রপাতের ঘটনা। সেই রেশ বৃহস্পতিবারও ছিল অব্যাহত। আর এই বজ্রপাতের বলি হল দুই কিশাের।
এদিন সকালে হরিহরপাড়া থানার স্বরূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রমণা গ্রামের বিলপাড়া এলাকায় কাজে গিয়েছিল ৭ কিশাের ও যুবক। ঝােড়াে হাওয়া এবং বৃষ্টির মধ্যেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই কয়েকজন গিয়েছিল মাঠের ঘাস কাটতে। কয়েকজন বিলে মাছ ধরতে। হঠাই পরপর বাজ পড়তে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে এই সাতজন বিলের পাশে একটি অস্থায়ী চালাঘরের নীচে আশ্রয় নেয়।
কিন্তু সেই চালাঘরেই বাজ পড়লে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই কিশাের তাহাবুল শেখ এবং সহিদুল শেখের। গুরুতর জখম হয় সামিরুল শেখ, সাজাদ শেখ, আক্ৰম আলি, হানিফ শেখ এবং সুবানা পারভিন। জখম অবস্থায় তাদের প্রথমে স্থানীয় হরিহরপাড়াব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয়ছ মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে বজ্রপাতের ঘটনা শােনার পরই হরিপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে যান বিডিও রাজা ভৌমিক, থানার ওসি অমিত নন্দী প্রমুখ। মৃত ও আহতদের পরিবারকে সমবেদনা এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে আসেন স্থানীয় সাংসদ আবু তাহের খান, স্থানীয় বিধায়ক নিয়ামত শেখ, জেলা পরিষদ সদস্য সামসুজ্জোহা বিশ্বাস প্রমুখ। তারা মৃত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের পাশে থাকার বার্তা দেন। সরকারি ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সাহায্যের আশ্বাস দেন। হাসপাতালে দাঁড়িয়েই বিডিও জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে থানার ওসি এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিয়ে আমি এসেছি।
মৃত এবং আহতদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ঝড়বৃষ্টির পরিবেশের মধ্যেই ওই কিশাের এবং যুবকরা স্থানীয় একটি বিলে জমিতে কাজে গিয়েছিল। হঠাৎ আবহাওয়া আরও খারাপ হলে তারা একটি খড়ের চালাঘরের নীচে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই বাজ পড়ে। যে দু’জন মারা গিয়েছেন, তাদের পরিবারের যে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা, তা আমরা দ্রুত তাদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করব। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাদের যাতে সঠিক চিকিৎসা হয়, সে ব্যাপারে আমরা যাবতীয় ব্যবস্থা নেব।