আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার জেরে গ্রেপ্তার ১৫। খড়গপুরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া লরির আঘাতে এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে লরি চালককে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা এবং পুলিশকর্মীদের মারধোর করার অপরাধে দুই দফায় মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার রাত আন্দাজ সাড়ে ১০টা নাগাদ খড়গপুরের গোলবাজার থেকে চৌরঙ্গিগামী একটি লরি ধাক্কা মারে একটি স্কুটিকে। দুর্ঘটনাটি ঘটে খড়গপুরেরই পাঁচবেড়িয়া অঞ্চলে। স্কুটিচালক অর্জুন নায়েক (৩০) লরির ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে যান। লরিটি তাঁকে পিষে দেওয়ায় তৎক্ষণাৎ প্রাণ হারান খড়গপুরের নিউ ট্রাফিক এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক।
এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে জনগণ নিজের হাতে আইন তুলে নেয়। শ্যাম শঙ্কর ধনকোয়ার নামক মহারাষ্ট্রবাসী ওই লরিচালক নেমে মৃত যুবককে দেখতে গেলে তাঁকে স্থানীয়রা আটকে রাখে এবং পাশের একটি ক্লাবঘরে নিয়ে গিয়ে প্রবল প্রহার করে। তাঁকে বাঁচাতে এসে আহত হন খড়গপুর টাউন থানার আইসি রাজীব পাল-সহ বেশ কিছু পুলিশকর্মী। বৃহস্পতিবার সকালে ওই লরি চালক মারা যান।
গণপিটুনিতে মৃত্যুর তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথম দফায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। খড়গপুরের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের আদালতে তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়। তাদের ৯ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকি অভিযুক্তদের তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গণপিটুনিতে মৃত্যুর এহেন ঘটনায় স্থানীয়রা রীতিমতো বিস্মিত। দুর্গাপুজোর আগেভাগেই এই ধরনের ঘটনায় প্রশাসন বিশেষভাবে চিন্তিত । খড়্গপুরের ইতিহাসে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা মনে করতে পারছেন না প্রবীণ রাজনীতিবিদরাও।