ফের জটিলতা! আপার প্রাইমারির ১৪ হাজার নিয়োগের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা সুপ্রিম কোর্টে

এ যেন ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’। রাজ্যের আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থা অনেকটা সেরকমই। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, দু’মাসের মধ্যে আপার প্রাইমারির প্যানেলে নাম থাকা প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র দিতে হবে। হাইকোর্টের এই রায়ের পর কাজে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন আপারের প্রার্থীরা।

কিন্তু আচমকা বিপত্তি! আপার প্রাইমারির ১৪ হাজার নিয়োগের হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হল। হাইকোর্টের নির্দেশ সংরক্ষণ নীতি বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ২৮ অগস্ট নির্দেশ দেয়, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। তারপর দ্রুত কাউন্সেলিং করে যোগ্য প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।


প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে আপার প্রাইমারি পরীক্ষা নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরীক্ষা পর্ব মোটামুটি নির্বিঘ্নে মিটলেও মেধাতালিকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। একের পর এক মামলার জেরে থমকে যায় গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়া।

২০১৯ সালে আপার প্রাইমারির মেধায়তালিকা বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২৩ সালে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। যদি সেই তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়নি আদালত।

আপার প্রাইমারির টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট। মোট ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মেধাতালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায় তাতে রয়েছে ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম। কিন্তু কাউন্সেলিং, সংরক্ষণ সহ নানা ইস্যুতে মামলা দায়ের হয় আদালতে।

এর আগে ২০২১ সালে এসএসসি আদালতে জানায়, ওএমআর শিটগুলি পুনরায় মূল্যায়ন করে ১৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও আদালতে মামলা করেন। হাইকোর্ট জানিয়েছে, ১৪৬৩ জনকে যে প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না। তাঁদেরকেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।