একজন বা দু’জন নয়, এবার হদিশ মিলল ১২০০-র বেশি ‘ভূতুড়ে’ ভোটারের। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর অঞ্চলের। দলের নির্দেশে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার খুঁজতে বেরিয়ে রীতিমতো অবাক তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারদের নাম যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই ভিনরাজ্যের ভোটারদেরও নাম রয়েছে। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভানেত্রী মহুয়া গোপ জানান, দলের নির্দেশে কর্মীরা বুথে বুথে তথ্য সংগ্রহ করছেন। একাধিক ‘ভূতুড়ে’ নাম-তালিকা সামনে আসছে। এই সমস্ত নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
পাহাড়পুর অঞ্চলে ২৯ হাজার ৭০১ জন ভোটার রয়েছেন। তৃণমূলের পাহাড়পুর অঞ্চল সভাপতি মকবুল হোসেন জানান, পাহাড়পুর অঞ্চলের ভগত সিং কলোনির ২২১ নম্বর বুথের ভোটার তালিকায় ব্যাপক গরমিল রয়েছে। ২০-২৫ বছর আগে অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন, এমন ভোটারদেরও নাম রয়েছে তালিকায়। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২০৫ নম্বর বুথে ১৫৩ জন এবং ২০৭ নম্বর বুথে ১২৪ জন মৃত ভোটারের হদিশ পেয়েছেন। মার্চ মাসের শুরুতেই রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় ১৫০ জন ‘ভূতুড়ে’ ভোটারকে চিহ্নিত করে তালিকা জেলা নেতৃত্বকে পাঠান রাজগঞ্জ ব্লকের তৃণমূল কর্মীরা। বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসারদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ইস্যুতে দিল্লিতে আরও চাপ বাড়াতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ‘ভূতুড়ে’ ভোটারের অনুসন্ধান চলছে। ভোটার লিস্ট নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে মন্ত্রীরাও। এই ব্যাপারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা থেকে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সরানো হবে।