নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৩০ এপ্রিল– রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে মরতে চেয়েছিলেন এক তরুণী৷ তাঁকে মরতে দেননি প্ল্যাটফর্মে বসে বই বিক্রি করে দিন যাপন করা তরুণ৷ সে অনেক বছর আগের কথা৷ ঘটনাস্থল ঢাকুরিয়া স্টেশন৷ তারপর সেই তরুণীর সঙ্গে মন দেওয়া নেওয়ার পালা৷ অবশেষে দু’জনে ঘর বাঁধা৷ দুটো জীবনের লড়াই করে বেঁচে থাকার চেষ্টা, বারুইপুর পিয়ালিতে ঘর ভাড়া করে থাকা৷ জীবনের শেষ বছরগুলো একসঙ্গে থাকা হল না দাস দম্পতির৷ সোমবার রাতে পঞ্চাশ বছরের বীণা দেবীর মৃতু্য হল ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে৷ রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে মৃতু্য না হলেও ব্রেণ স্ট্রোকে অকালে মৃতু্য হল বীণা দেবীর৷ বীণাকে হারিয়ে অসহায় স্বামী অসিত রঞ্জন দাস৷ যে বীণার প্রাণ বাঁচিয়ে ঘর বেঁধেছিলেন অসিত বাবু সেই বীণার দেহ সৎকার এর টাকাটুকু নেই৷
সূত্রের খবর , হাসপাতাল চত্বরে অসহায় মানুষটির কান্না দেখে এগিয়ে আসেন আশপাশের সাধারণ মানুষ ক্যানিং থানার পুলিশ৷ অবশেষে রাতেই দাহ কাজ সম্পূর্ণ ক্যানিংয়ের বৈতরণী শ্মশান ঘাটে৷ অসৎ অমানবিক অমানুষের ভিডে় অনেক দরদী মানবিক মানুষের মুখ দেখে স্ত্রী বীণাকে হারানোর শোক কয়েক গুণ বেডে় যায় অসিত রঞ্জন দাসের৷ জানা গেল, ২০১৮ সালে দুটি বাসের রেষারেষির ফলে অসিতবাবুর দুটি পা অকেজো হয়ে যায়৷ স্ত্রী বীণা দেবী স্বামীকে সুস্থ করে তোলেন৷ জীবনের সুরটি বাঁচিয়ে রেখেছিল যে বীণার তার তা ছিঁডে় গেছে৷ অসহায় অসিতবাবুকে আশ্বাস দিয়েছেন শ্মশান বন্ধুরা, আপনি বাঁচবেন৷ আমরা সবাই আছি আপনার পাশে৷