সিএএ নিয়ে তরজার মাঝে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে শরণার্থী বলে তোপ দাগলেন, পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সীমান্ত রক্ষায় ব্যর্থ বলেও আক্রমণ শানালেন। কুণাল ঘোষের দাবি, যে বিজেপির জন প্রতিনিধিরা সিএএ’র আবেদন করবেন আগে তাঁদের পদ থেকে সরাতে হবে। কারণ হিসেবে দাবি করেছেন, সিএএ’র প্রাথমিক শর্তই হল, যিনি নাগরিক নন, তাঁকে নাগরিকত্ব প্রদান। সেই হিসেবে যিনি নাগরিক নন তিনি জনপ্রতিনিধি হবেন কী করে? প্রশ্ন তৃণমূল নেতার।দেশজুড়ে সিএএ লাগু হতেই তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। বিজেপি নেতা-জনপ্রতিনিধিরা বারবার সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হলেও তৃণমূল তার বিরোধিতা করেছে। বৃহস্পতিবার সিএএ ইস্যুতে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে শরণার্থী বলে তোপ দাগলেন তিনি। বললেন, তৃণমূলে থাকাকালীন দুর্নীতি করে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। অর্থাৎ আদতে তিনিই শরণার্থী। সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বললেন, “সীমান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতাধীন। তাই অনুপ্রবেশ রুখতে না পারলে তাহলে বলতে হবে অমিত শাহ ফেল।” সিএএ নিয়ে কেন্দ্র মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বলেও দাবি করেন কুণাল।দেশজুড়ে সিএএ লাগু হতেই উৎসবে মেতেছিলেন মতুয়ারা। হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার বলেছিলেন, অবিলম্বেই সিএএ’র জন্য নাম নথিভুক্ত করাবেন।
সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই এদিন পালটা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কেন্দ্রের লাগু করা সিএএ-কে অস্ত্র করেই বিজেপি বিধায়কের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। তাঁর কথায়, বিজেপির কোনও জন প্রতিনিধি যদি সিএএ-এর জন্য আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে আগে পদে রাখা যাবেন। কুণাল ঘোষের যুক্তি, সিএএ’র প্রাথমিক শর্তই হল, যিনি নাগরিক নন, তাঁকে নাগরিকত্ব প্রদান। সেই হিসেবে যিনি নাগরিক নন তিনি জনপ্রতিনিধি হবেন কী করে? প্রশ্ন তৃণমূল নেতার। সিএএ’র জন্য যাঁরা আবেদন করবেন তাঁদের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার নেই বলেও দাবি করলেন কুণাল।