অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ফের বিএসএফকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে জঙ্গি হামলায় মদত দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়ে নিজের পুলিশ প্রশাসনকেও কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”সীমান্ত তৃণমূল বা পুলিশ পাহারা দেয় না। পাহারা দেয় বিএসএফ। আর তারাই অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে। সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা এসে খুন করে চলে যাচ্ছে। ডিজি রাজীব কুমার এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেয়েছেন, যা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় স্তরেও কিছু কিছু তথ্য মিলেছে। আমাকে সেসব তথ্য সবিস্তারে দেওয়া হোক। আমি এনিয়ে কেন্দ্রকে বড় চিঠি লিখব। আগেও বারবার কেন্দ্রকে এনিয়ে আমি বলেছি।”
এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যে জঙ্গি হামলার চক্রান্ত করার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আমরা তো চাই ওখানেও শান্তি থাক, এখানেও শান্তি থাক। দুই বাংলার মধ্যে তো কোনও খারাপ সম্পর্ক নেই। এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খুন করছে, চলে যাচ্ছে এই রকম লোক পাঠানো হচ্ছে। এটা বিএসএফের অনেক ভিতরকার কাজ। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্লু প্রিন্ট আছে। না হলে এটা হত না। আমি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি। যা করবেন আপনারা সেটাই আমাদের পথ। কিন্তু আমি যদি দেখি আমার রাজ্যকে ডিস্টার্ব করার জন্য জঙ্গি হানাতে কেউ মদত দিচ্ছে সেক্ষেত্রে তো আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে। সেজন্য আমাদের প্রতিবাদপত্র যাবে।’
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে নিজের প্রশাসনকেও ছেড়ে কথা বলেননি মমতা। তাঁর কথায়, ”বিএসএফের সঙ্গে সমঝোতা করে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাচ্ছেন আপনারা। কেউ প্রতিবাদ করছেন না। আপনারা ঢোকাচ্ছেন না, ঢোকাচ্ছে বিএসএফ।” পাশাপাশি কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ”যারা প্লেনে আসে তাঁদের তালিকা আগে আমাদের দেওয়া হত। এখন দেয় না। মানে আমরা জানতে পারি না কারা আসছে। ট্রেনও চলছে, বাসও চলছে, বিএসএফও চলছে। আর কেউ যদি মনে করে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করব, এটা তৃণমূল কংগ্রেস করছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের করার অধিকার নেই আর সাধ্যও নেই। এলাকাটা বিএসএফ নিয়ন্ত্রণ করে।”