• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

‘শুভেন্দুকে ভোটপ্রচারের অনুমতি দেবেন না’, ‘খালিস্তান’ বিতর্কে নতুন মোড়

নিজস্ব প্রতিনিধি— এবার শিখ সংগঠনের চিঠিতে নড়েচড়ে বসলো গেরুয়া শিবির৷ নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ জানাল শিখ সংগঠন৷ নির্বাচন কমিশনারকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে রবিবার, ‘গুরুদ্বার বড়া শিখ সংগত’ -এর তরফ থেকে৷ চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন তাঁরা, ভোটপ্রচারে যেন শুভেন্দু অধিকারীকে অনুমতি না দেওয়া হয় তার অনুরোধ জানানো

নিজস্ব প্রতিনিধি— এবার শিখ সংগঠনের চিঠিতে নড়েচড়ে বসলো গেরুয়া শিবির৷ নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ জানাল শিখ সংগঠন৷ নির্বাচন কমিশনারকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে রবিবার, ‘গুরুদ্বার বড়া শিখ সংগত’ -এর তরফ থেকে৷ চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন তাঁরা, ভোটপ্রচারে যেন শুভেন্দু অধিকারীকে অনুমতি না দেওয়া হয় তার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে৷

তবে কেন এই চিঠি? একটু অতীত ঘেঁটে দেখা যাক৷ ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু৷ তাঁর সাথে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ৷ সন্দেশখালি প্রবেশের আগেই ধামাখালি এলাকায় ব্যারিকেড গডে় শুভেন্দুদের আটকে দেয় পুলিশ৷ সেই সময়ই পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন৷ অভিযোগ, সেই সময়ই ওই জায়গায় কর্তব্যরত পাগডি়ধারী আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিংহকে ‘খলিস্তানি’ মন্তব্য করেন শুভেন্দু৷ তবে বিরোধী দলনেতা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “পাকিস্তানি-খলিস্তানি এ সব বলার দরকার নেই আমাদের৷ শিখ ধর্মকে সম্মান করি৷ আমরা রাষ্ট্রবাদে বিশ্বাসী৷ সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীর বিরোধিতা করি৷’

কিন্ত্ত আদেও কি তা সত্যি? বলেননি বিরোধী দলনেতা? তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কি বাস্তবেই মিথ্যে? সন্দেহ বাড়িয়েছে শিখ সংগঠনের কার্যাবলী৷ উত্তর কলকাতায় বিজেপির অফিসের বাইরে ধর্না দিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তাঁরা৷ সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন৷ এবার শিখ সংগঠন নিলো বড়ো পদক্ষেপ৷ কেবল নির্বাচন কমিশনে নয় পাশাপাশি রাজ্যপালকেও চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷

জল্পনায় ইতি টানার চেষ্টা করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী কখনওই এমন মন্তব্য করেননি৷’ তবে আদেও কতটা সত্যতা রয়েছে এ সকল ঘটনার তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যপাল কি পদক্ষেপ নেন শিখ সংগঠনের চিঠিতে সাড়া দিয়ে এখন সেটিই দেখার বিষয়৷