সামনেই রাজ্যের ৬টি বিধানসভায় উপনির্বাচন। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে বাম শিবিরের জোট বাধার কথা রাজনৈতিক আলোচনায় উঠে আসে। সেই নিয়ে আজ, শুক্রবার আলোচনায় বসেন কংগ্রেস এবং বাম শিবিরের শরিকরা। সূত্রের খবর, রাজ্যের ৬টি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট গড়ার ক্ষেত্রে নিজেদের আসন ছাড়তে একেবারেই নারাজ বাম শরিকরা। যার দরুন বাম কংগ্রেস জোট নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও অব্যাহত।
তবে কেন বাম পক্ষ চাইছে না উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধতে? এব্যাপারে জানা গিয়েছে, সিপিএমের একাধিক জেলা কমিটি চাইছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বামেরা এই উপনির্বাচনে এককভাবে লড়াই করে নিজেদের শক্তি পরখ করে নিক। ঠিক তেমনই কংগ্রেস চাইছে। তারা চাইছে শীঘ্রই ৬ টি উপনির্বাচনের আসনে প্রার্থীর নাম ঠিক করে নিতে। এবং ২৬ এর ভোটের আগে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি যাচাই করে নিতেও চাইছে তারা। এর থেকেই স্পষ্ট, দুই দলের মতের বিস্তার ফারাক। যার দরুন উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নভেম্বর রয়েছে সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা– এই ৬ টি কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এর মধ্যে একমাত্র মদরিহাট কেন্দ্রটি রয়েছে বিজেপির দখলে। বাকি সব শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। মেদিনীপুর আসনে লড়বে সিপিআই এবং মাদারিহাট আসনে লড়বে আরএসপি। এই দুই আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ক্ষেত্রে কোনও রকম সমঝোতায় যেতে চায় না বাম শরিকরা।
কংগ্রেস চাইছে, আগেই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিতে। অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এই মুহূর্তে ভারতের বাইরে। তিনি রয়েছেন লন্ডনে। ২৫ অক্টোবরের আগে তিনি ফিরছেন বলে জানা গিয়েছে। তার আগে সিপিএমের পক্ষে সম্ভব নয় নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা। আর সেই সময় থেকেই শুরু হয়ে যাবে উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ। সেজন্য তার আগে কোনও ভাবেই সম্ভব নয় বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের আলোচনা।
শুধুমাত্র সিপিএম-ই নয়, জোটবদ্ধ হয়ে উপনির্বাচনে লড়তে নারাজ কংগ্রেসও। কারণ একুশের ভোটেও কংগ্রেস এবং সিপিএম জোটবদ্ধ হয়ে লড়ে কোনও ফল হয়নি। তাই, পরোক্ষভাবে বোঝা যাচ্ছে, আগামী ১৩ নভেম্বরের উপনির্বাচনে এককভাবে লড়তে চলেছে দুই দল।